যশোরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় এক সপ্তাহপর  মামলা রেকর্ড

 

শহরের লোন অফিস পাড়ার এক বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির অভিযোগ পেয়েও কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ এক সপ্তা পর মামলা রেকর্ড করেছেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা। রোববার ৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০ টায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

মামলাটি করেন,যশোর শহরের ১৩ এ,পি,সি রোড লোন অফিস পাড়ার মৃত ছমির উদ্দিন মোল্লার ছেলে সাকির আলী বাদি হয়ে মামলায় বলেছেন,গত ৩০ অক্টোবর বিকেল ৫ টায় তিনি তার দোতলা বাড়ির বাসায় তালা মেরে প্রয়োজনীয় কাজে শহরে অবস্থান করে। কাজ শেষে তিনি রাত ১১ টায় বাসায় ফিরে যান।

ফিরে দেখেন বাসার দোতলা বারন্দার গ্রীল কাটা ড্রইং রুমের দরজা ভেঙ্গে অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা সংগোপনে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে শয়ন কক্ষের ষ্টীলের আলমারীর তালা ভেঙ্গে আলমারী হতে নগদ ৭০ হাজার টাকা ও আনুমানিক ২ ভরি স্বর্ণালংকর,আর্ন্তজাতিক পাসপোর্টসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজে চোরের মাথায় ক্যাপ ও মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায়। ঘটনার বিষয় আশপাশের লোকজনদের জানিয়ে তৎক্ষনিক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে ঘটনার বিষয় অবহিত করেন। অফিসার ইনচার্জ তৎক্ষনিকভাবে টহলরত ফোর্স বাদির বাসায় পাঠায় এবং চুরির ঘটনার বিষয়টি তারা প্রত্যক্ষ করেন। তারপর তদন্তর নামে ফেলে রাখে অভিযোগ নামা। খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে, থানায় কোন চুরির অভিযোগ দেওয়া হলে তা তৎক্ষনিক তদন্তর নামে রেখে দিয়ে মামলা রেকর্ড করা হয় এক সপ্তা থেকে প্রায় দেড়মাস পর এমন রেকর্ড রয়েছেন থানার পূর্বের এফআইআর বইয়ে।