যশোরে শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় বাপ বেটার বিরুদ্ধে মামলা

জমির ভাগ বন্টন নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলায় দু’জন গুরুতর জখম হওয়ায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া ৯ নং আরবপুর ইউনিয়নের ভেকুটিয়া গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের ইউনুছ আলী সরদারের ছেলে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ ইউনুছ আলী। মামলায় আসামী করেন, একই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ দফাদারের ছেলে হাফিজুর রহমান, হাফিজুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান।
মামলায় ইউনুছ আলী সরদার উল্লেখ করেন, বাদির আপন চাচাতো ভাই সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মৃত মোবারক সরদারের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৬০) ও আব্দুল ওহাব (৪৫) এর মধ্যে আনুমানিক ২ বছর পুর্ব হতে তাদের জমি ভাগবন্টন নিয়ে বিরোধের বিষয়টি মিমাংশা করিয়ে দেওয়ার জন্য বাদিকে ডাকলে বাদি গত ১৩ জানুয়ারী চাচাতো ভাই রাশেদুল ইসলাম এর বাড়ি উঠানে বাদির পরিবারের আরো অনেকের সাথে চাচাতো ভাই রাশেদুল ইসলাম ও মোঃ আব্দুল ওহাব দ্বয়ের জমি ভাগবন্টনে বিষয়ে কথা বলার এক পর্যায় উক্ত আসামীদ্বয় ভাগ মানিনা বলে বাদিকে হুমকী দিয়ে চলে যায়। তারপর আসামীরা একই তারিখের পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সকাল সোয়া ১০ টায় পুনরায় ঘটনাস্থলে এসে বাদিকে খুন করার হুমকী দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ওই সময় আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হাফিজুরের হুকুমে বাদিকে এক যোগে আক্রমন করে তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি.ধারালো দায়ের উল্টো পিঠ দিয়ে বাদির হাতে পায়ে,বুকে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম ও ফোলা জখম করে। ঘটনার সময় হাফিজুর রহমান ধারালো কাঠ কাটা দা দিয়ে বাদিকে খুন করা উদ্দেশ্যে বাদির মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে। ওই সময় বাদি ডান হাত দিয়ে ঠেকাতে চেষ্টা করলে বাদির ডান হাতের আঙ্গুলের উপর স্বজোরে কোপ মেরে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। বাদির ভাইপো আবু হানিফা (২৫) ঠেকাতে এলে হাফিজুরের হাতে থাকা ধারালো কাঠ কাটা দা দিয়ে আবু হানিফার ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলের মাঝ খানে কোপ মেরে গুরুতর কাটা জখম হয়। বাদির ভাইপোর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঠেকিয়ে দিলে আসামীরা খুন করার হুমকী দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাদি ও তার ভাইপো আবু হানিফা যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহন করেন। পরে থানায় মামলা দেন।