আ.লীগ নেতারা গর্তে লুকিয়ে ছিলেন: কাদের সিদ্দিকী

বঙ্গবন্ধু যখন মারা যান, তার তিন ছেলেকে যখন মেরে ফেলা হয়, অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতারা ইঁদুরের গর্তে লুকিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বীর উত্তম।

শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মীসভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গামছার দল করি বলে নৌকাওয়ালার ভাববেন না বঙ্গবন্ধু সবখানি আপনার। বঙ্গবন্ধু যখন মারা যান, তার তিন ছেলেকে যখন মেরে ফেলা হয়, অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতারা ইঁদুরের গর্তে লুকিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম বঙ্গবন্ধুকে ওরা নির্বংশ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা আমি নেবোই নেবো। যদি প্রতিবাদ না করতাম আমার ছোট ভাই শামীমও বাঁচত না, আইভীও বাঁচত কীনা জানি না। তাই একটু ভেবে চিন্তে কথা বলবেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, নারায়ণগঞ্জকে আমি খুব ভালোবাসি। নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে আমার রক্তের বন্ধন। আজ থেকে ৭০/৮০ বছর আগে আমার দাদা এ নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসায় করতেন। পাকিস্তানের নেতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সঙ্গে তিনি রাজনীতি করেছেন। তার বিশাল পাটের ব্যবসায় ছিল। কোথায় ছিল কী ছিল আমরা জানি না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি হঠাৎ মারা যান।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ বলেন, আজ দেশের অবস্থা একেবারে ভালো না। আমাদের বিএনপির একজন নেতা, ভালো মানুষও বলা যায় তাকে। তিনি হঠাৎ কেন যেন বলে বসলেন, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ভালো ছিল।

যে বাংলাদেশের জন্য আমি রক্ত দিয়েছি, সত্যিকারের রক্ত। কারও যদি মনে হয়, বাংলাদেশের চাইতে পাকিস্তান ভালো ছিল, তার এক মুহূর্ত বাংলাদেশে থাকার দরকার কী। তুমি পাকিস্তানে গিয়ে নাচানাচি করো। বাংলাদেশে তোমার থাকার দরকার নেই।

তিনি বলেন, এ দেশে থাকবেন, এ দেশের আলো বাতাস নিবেন। আর পাকিস্তানের গুণকীর্তন গাইবেন। পাকিস্তানও খুব সুখে নেই। ইমরান খানকে ঘাটে ঘাটে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার দেশে রাজনীতি করে পাকিস্তানি গুণকীর্তন গাইবেন না। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে পারবেন না, আমরা যতদিন বেঁচে আছি।