মাত্রাতিরিক্ত ‘সিজার’ হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালে

ফাইল ছবি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুয়ায়ী একটি দেশে সিজারে বা অস্ত্রোপচারে সন্তান জন্ম নেওয়ায় হার মাত্র ১৫ শতাংশ হওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে সন্তান জন্ম নেয় ৮৪ শতাংশ যা উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ কাজটি প্রাইভেট মেডিকেল মাত্রাতিরিক্ত করছে বলে জানান তিনি। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি একথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে সিজারের হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেটি ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস প্রদান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের ১২টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নামমাত্র ‘ফি’র মাধ্যমে চালু করা হয়েছে। খুব দ্রুতই এই সেবা দেশের সকল হাসপাতালে চালু করা হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন শেষ পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, রোগী ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। আগামী সংসদে এটি পাস হলেই আইনটি কার্যকর হবে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একটি সাংবিধানিক অধিকার।’

সেই বিষয়টি মনে রেখে দেশের স্বাস্থ্যখাত বর্তমানে নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘মায়েদের মাতৃত্বকালীন সেবার মান বাড়াতে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি।’

দেশের প্রায় চার হাজার ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসূতি মায়েদের জন্য ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৪ ঘণ্টা সেবাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। খুব অল্প সময়ে আমরা দেশের সব হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা সেবাদান কর্মসূচির ব্যবস্থা চালু করব। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানুসহ প্রমুখ।