যশোরে এসএসসি পরীক্ষার্থী অপহরণ: চারদিন পর উদ্ধার গ্রেফতার ১

সদ্য এসএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া আবেহা বুশরা (১৬) কে দিনের বেলায় ফুসলিয়ে অপহরণ করার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার ২৪ জুন রাতে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন, অপহৃতার পিতা যশোর শহরের নীলগঞ্জ (সাহাপাড়া) এলাকার মৃত মোতাহার আলীর ছেলে ফারুক হোসেন। মামলায় আসামী করেন, যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া খালধার রোড,বর্তমানে শহরের বকচর (বিহারী কলোনী পাড়া) এলাকার ইমান হাসানের ছেলে সাব্বির হাসান ইফরাদ। অপহরনের চারদিন পর ২৫ জুন রোববার ভোর রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অপহৃতাকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানার কুয়াকাটা সাইথ স্টার হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে। তাকে রোববার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে। অপহৃতাকে ২২ ধারার জবানবন্দির জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার মেয়ে সাদিয়া আবেহা বুশরা যশোর শহরতলী ঝুমঝুমপুর প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আসামী সাব্বির হাসান ইফরাদ বখাটে ছেলেদের সাথে চলাফেরা করে। সে বাদির মেয়েকে প্রায় সময়ে উত্যক্ত করত এবং বিয়ের জন্য ফুসলাতো। বাদির মেয়ে আসামীর প্রস্তাবে রাজী না হওয়াতে সে ক্ষতি করার হুমকী দিতো। বিষয়টি বাদির মেয়ে তার মা বাবাকে জানালে তারা আসামী সাব্বির হাসানকে নিষেধ করার পর সে বাদির মেয়েকে ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। বাদির মেয়ে গত ২১ জুন নীলগঞ্জ মোড় হতে কোচিং শেষে বাড়িতে ফেরার পথে বেলা ৩ টায় নীলগঞ্জ সাহাপাড়া মোড়ে পৌছালে উক্ত আসামীসহ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামাদের সহযোগীতায় বাদির মেয়েকে ফুসলিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে গাড়ী যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদির মেয়ে বাড়িতে না আসায় তাকে খোঁজাখুজি করাকালে বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানতে পারেন উক্ত আসামী বাদির মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আসামী যে কোন সময়ে বাদির মেয়েকে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এ ব্যাপারে বাদি স্থানীয় লোকজনদেরকে জানিয়ে কোতয়ালি থানায় শনিবার ২৪ রাতে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিপ্লব রায় রোববার ২৫ জুন ভোর রাতে পটুয়াখালী জেলা মহিপুর থানার কূয়াকাটা সাউথ স্টার হোটেলে অভিযান চালিয়ে অপহৃতা সাদিয়া আবেহা বুশরাকে উদ্ধার ও অপহরণকারী সাব্বির হাসানকে গ্রেফতার করে। পরে দু’জনকে রোববার ২৫ জুন আদালতে সোপর্দ করে।#