সংসদীয় আসন ৮৮ যশোর-৪ বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে দু’টি পৌরসভা বাঘারপাড়া উপজেলার ৮টি ও অভয়নগর উপজেলার ৮টি এবং যশোর সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে যশোর-৪ আসনের সংসদীয় এলাকা। যশোর-৪ আসনের (অভয়নগর-বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) এলাকায় নৌকার মনোনয়নের আশায় মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের প্রায় ডজ্জন খানেক নেতা।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে, যশোর -৪ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার বেড়েছে ৩১ হাজার ২৫৭জন। ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৩৩,২৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২,১৬,৪২৬ ও মহিলা ভোটার ২,১৬,৮৬১ জন। যা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৪,০২,০৩০জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২,০০৬১৮ জন ও মহিলা ভোটার ২,০১,৪১২জন। এই আসনে বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় অন্তর ১০ জনের নাম উঠে এসেছে।
এরা হচ্ছে, বর্তমান সংসদ সদস্য বাবু রণজিত কুমার রায়, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোর মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সন্তোষ অধিকারী, সাবেক হুইপ শেখ আবদুল ওহাব, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র এনামুল হক বাবুল, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান সরদার অলিয়ার রহমান, যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নতুন মুখ মোহিত কুমার নাথ, অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নতুন মুখ শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নতুন মুখ আশরাফুল কবির বিপুল ফারাজী ও আওয়ামী লীগ নেতা নতুন মুখ আরশাদ পারভেজ। অপরদিকে, জাতীয়বাদী দল বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব ও ফারাজী মতিয়ার রহমান এবং বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা।
এছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অ্যাডভোকেট জহুরুল হক জহির ও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আশা নিয়ে মাঠে রয়েছেন। যশোর-৪ আসনে দু’টি পৌরসভা ও ১৭ টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থীরা এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিভিন্ন সংযোগ করছে। এরা ভোটারদের কাছে নিজেকে জন প্রিয়তার জন্য বছর খানেক পূর্ব হতে ভোটারদের সুখ দুঃখের সাথী হওয়ার জন্য মাঠে রয়েছেন। তারপরও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তর উপর তাদের নির্বাচনী প্রার্থী হওয়া নির্ভর করছে বলে প্রার্থীদের প্রায় সবাই মনে করছেন।