যশোর-৬ সংসদ নির্বাচনে আ.লীগ বিএনপি ও অন্যান্য দলের প্রার্থীর ছড়াছড়ি

মহা কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম স্থান যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা সংসদীয় আসন ৯০ যশোর-৬ আসন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে একটি পৌরসভা, ৮টি ইউনিয়ন ও কয়েকটি বাজার নিয়ে গঠিত যশোর-৬ কেশবপুর উপজেলা। যশোর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে বলা হয়েছে যশোর-৬ আসনটিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২লাখ ১৭ হাজা ৪শ’ ২৩জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ৬শ’ ৬৬ জন ও মহিলা ভোটার ১লাখ ৭ হাজার ৭শ’ ৫৭ জন। যশোর-৬ কেশবপুর উপজেলার এই আসনটি বরাবর আওয়ামীলীগের দখলে রয়েছে।

তৎকালীন আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা শিক্ষা মন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী ইসমত আরা সাদেককে আওয়ামীলীগ মূল্যয়ান করে একবার সংসদ নির্বাচিত করেন। এর পর গত ২০১৮ সালে এই আসনে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে মনোয়ন দেওয়ার পর তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। বর্তমানে এই আসনে শাহীন চাকলাদার এমপি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এই আসনে পুনরায় মনোনয়ন চাইবেন। শাহীন চাকলাদার ছাড়াও যশোর-৬ আসনে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন,সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রায়ত মন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেকের কন্যা নওরীন সাদেক,আওয়ামীলীগের নেতা ড.তাপস কুমার দাশ,আওয়ামীলীগ নেতা কাজী রফিকুল ইসলাম,আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাডভোকেট হোসাইন ইসলাম মনোনয়ন চাইবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের নীতি নির্ধারক কমিটির কাছে।

অপরদিকে,জাতীয়বাদী দল বিএনপি’র পক্ষে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদেও প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ মনোনয়ন চাইবেন বলে সূত্রগুলো দাবি করেছেন।এছাড়া, দলীয় মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় নেতা অমলেন্দু দাস অপু,স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও বিএনপি’র নেতা আব্দুস সামাদ বিশ^াস। জাতীয় পার্টিও হাবিবুর রহমান ছাড়াও এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদের নাম শোনা গেছে। এছাড়া, জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের কেশবপুর উপজেলার আমির অধ্যাপক মুক্তার আলী একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার কাজে নিয়োজিত। মূলত আওয়ামীলীগে প্রার্থী এই আসনে বেশী হয়ে দেখা দিয়েছে। জাতীয়বাদী দল বিএনপি ও তার শরীক দলের নেতাকর্মীরা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আশায় একটি লিংক তৈরী করে ফেলেছেন। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য একটি মহল সুদূর ঢাকাতে অববস্থান করছেন।

তারা তাদের পছন্দ মতো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য বদ্ধ পরিকর বলে জানিয়েছেন। এই আসনে নতুন মুখ হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের অধিকাংশই আওয়ামীলীগের। তারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, আওয়ামীলীগের যিনি প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত হবেন তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পরিবারের সদস্য হন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপাওে প্রায়ই সকলে আশাবাদী। একবার দলীয় টিকিট পেলে তিনি নির্বাচিত হবেন এমন নিশ্চিত ফরমূলা বাস্তবায়ন নিয়ে দারুন সংশয় দেখা দিয়েছে অনেক প্রার্থীদের মধ্যে।

ভোটার ও প্রার্থীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে শোনা গেছে, এবার জাতীয় সংসদের ভোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে না হলে জাতীয়বাদীদল বিএনপি ও তার শরীক দলের কেউ নির্বাচনে থাকবেন না। আওয়ামীলীগের সূত্র থেকে জানাগেছে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থক নেতা কর্মীরা জানান, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। সংবিধানে যে নিয়ম প্রক্রিয়া রয়েছে সেই নিয়ম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ভোটারগন প্রার্থীদের মধ্যে থেকে তাকেই বেঁছে নিবেন যিনি ইতিপূর্বে কেশবপুর উপজেলা উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। এখন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে থেকে কে এগিয়ে তা মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তর অপেক্ষায় থাকতে হবে।