যশোরে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই
মাদ্রাসার শিক্ষককে পুলিশ আটক করে। আটক মাদ্রাসা শিক্ষকের নামে
আব্দুল জব্বার। তিনি সদরের ঝাউদিয়া গ্রামের রেজাউল বিশ^াসের
ছেলে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়। ওই শিক্ষার্থীর পিতা
মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর মামলা করেন।
মামলায় ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীর পিতা বলেছে. আসামি আব্দুল জব্বার
ঝাউদিয়া গ্রামস্থ মদিনাতুল উলুম মাহি সুন্নাহ কওমী মাদ্রাসা
শিক্ষক। আসামির স্বভাব-চরিত্র তেমন একটা ভাল নয়। নারী লোভী ও লম্পট
প্রকৃতির লোক। আসামি বাদির নাবালিকা মেয়েসহ তাহার স্কুলের
ছাত্রীদের প্রায় সময় কু-প্রস্তাব ও উত্যক্ত করে আসছিলো। বাদির
নাবালিকা মেয়ে (৭) ওই মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। বাদির
মেয়ে মাদ্রাসায় পড়াশুনার জন্য গেলে আসামি প্রায় সময় তাহার মেয়ের
শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করে আসছিল। ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে
বাদির মেয়ে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করার জন্য যায়। মাদ্রাসায় পড়াশুনা
করাকালীন ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা অনুমান ১১ টার সময় আসামি বাদির
মেয়েকে শ্রেণী কক্ষের মধ্যে অন্য সহপাঠী জান্নাতুল ফেরদৌস রায়সা
(৮), জামিলা (৭), সিনথিয়া (৮), এদের সবার বাড়ি -ঝাউদিয়া গ্রামে।
এদের সামনে বাদির মেয়েকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাহার
পরিহিত প্যান্ট খুলে আসামি বাদির মেয়ের শরীরের নিন্মাংশে হাত দেয়।
তখন বাদির মেয়ের সহপাঠীরা চিৎকার করলে আসামি আব্দুল জব্বার
শ্রেণী কক্ষ থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। বাদির মেয়ে বাড়ি যেয়ে ঘটনার
বিষয়ে বিস্তারিত জানায়। আসামি বাদির মেয়েকে ফুসলিয়ে মাদ্রাসার
শ্রেণী কক্ষের মধ্যে যৌনকামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে পরনের কাপড়
খুলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস
আই সেলিম হোসেন মঙ্গলবার রাতে আসামি শিক্ষক আব্দুল জব্বারকে
গ্রেফতার করে।