গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের পর থেকেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে একের পর এক দৃশ্যের অবতারণা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দেশটির অন্যতম রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামির (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইমরান খানের বার্তাটি তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) একটি প্রতিনিধি দল মাওলানা ফজলুর রহমানের বাসভবনে পৌঁছে দেয়।
ডন জানিয়েছে, মাওলানার বাসভবনে যাওয়া পিটিআই প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন আসাদ কায়সার, আমির দোগার, ব্যারিস্টার সাইফ এবং ফজল আহমেদ। তবে প্রতিনিধি দলে পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলীর থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলটি সাম্প্রতিক নির্বাচন এবং দেশের চলমান রাজনৈতিক পটভূমি সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে।
আরেক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ওই বৈঠকেই পিটিআই প্রতিনিধি দল মাওলানা ফজলুর রহমানের কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একটি বার্তা পৌঁছে দেন। পিটিআই প্রতিনিধিরা মাওলানাকে ভোটের সময় কথিত কারচুপির বিরুদ্ধে যৌথভাবে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকের পর জেইউআই-এফ নেতা হাফিজ হামদুল্লাহ বলেন, দলটি আলোচনার জন্য আসাদ কায়সারের নেতৃত্বে পিটিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়েছে। দলের প্রধান ফজলুর রহমান বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈঠককে ‘ইতিবাচক’ ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ফজলুর রহমান ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন যে তার দল নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে জেইউআই-এফ দলের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান একটি বড় ধরনের বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই সময় ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধীদের যে জোট গঠিত হয়েছিল তার মধ্যে মাওলানাও ছিলেন।
তবে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক নির্বাচনে এবার ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনেছেন তিনি। আর ভোট ডাকাতির অভিযোগে আগামী শনিবার পাকিস্তানজুড়ে বড় ধরনের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইমরান খানের দল পিটিআই। অনেকে বলছেন, এর আগে আগাম নির্বাচনের দাবিতে জোট সরকারের বিরুদ্ধে ইমরান খান দেশব্যাপী যে বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন, এটি তার দ্বিতীয় ভার্সন হতে যাচ্ছে।