আসামী গ্রেফতার করায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় হামলার ঘটনায় ১১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫’শ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। রবিবার (৯ জুন) রাতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক লাল্টু রহমান বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা করে। মামলা পর রাতেই পুলিশ শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদেরকে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্যঃ শৈলকুপার ধাওড়া গ্রামে একটি মারামারি মামলার এজাহারভূক্ত আসামী স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাক শিকদারকে রবিবার (৯ জুন) গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিকালে ধাওড়া ও আশপাশের গ্রামের শত শত লোকজন ঢাল, ভেলা, লাঠি, সোটা, রাম দা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে থানায় হামলা করে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় উত্তেজনা আরো ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। পুরো থানা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ২০ থেকে ২৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় ৫ পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, থানায় হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় রাতে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান চলমান আছে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইমরান জাকারিয়া জানান, রোববার (৯ জুন) দুপুরে উপজেলার ধাওড়া গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক শিকদারকে একটি মামলায় গ্রেফতার করে আনে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ছিনিয়ে নিতে কয়েক’শ লোকজন থানা ঘেরাও করে ইট পাটকেল ছোড়ে। সেসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। প্রায় আধাঘন্টা ধরে চলে হামলা পাল্টা হামলা। এতে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
আহতরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আহতদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল আব্দুস সালামের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। মামলার আসামী ১৫ জন গ্রেফতার হলেও বাকীদেরকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যহত রয়েছে। শৈলকুপা উপজেলা শহর ও থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।