যশোরে কেশবপুর উপজেলার বরণডালি গ্রামের বিধবা ফিরোজা বেগম। ২০১৭ আগে তার স্বামী স্ট্রোকে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিন মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে পড়েন। মাঝে মধ্যেই সংসারে তাকে বোঝা মনে হয়। জানতেন সেলইয়ের কাজ। পুরাতন মেশিন কিনেই কাজ শুরু করেন। সেই কাজ শুরু। সম্প্রতি সেই মেশিনটি নষ্ট হয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে আর চালাতে পারছেন। নিউজ পোর্টাল ওয়ান নিউজ বিডি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে তার কর্মযন্ত্র নষ্টের কথা। তাকে দেয়া হয়েছে একটি সেলাই মেশিন। মেশিন পেয়ে ফিরোজা বেগম আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তার চোখে অশ্রুবিন্দু থাকলেও কণ্ঠে ছিল উচ্ছ্বাস। বললেন, সেলাই মেশিনটি তার অনেক সাধনার প্রাপ্তি। এখন বাড়ির কাজের পাশাপাশি পোশাক তৈরি করেও আয় করতে পারবেন।
সেলাই মেশিন উপহার পেয়েছেন মনিরামপুর উপজেলার ঝাপাঁ হানুয়ার গ্রামের চায়না বিশ্বাস। তিনিও আবেগ প্রবণ হয়ে বললেন, সেলাই মেশিনটি প্রাপ্তি স্বপন্ন পূরণ হবে। মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে পাববো। শুধু চায়না বেগম, ফিরোজা বেগম নয় তাদের মত ৭৫ জন পেয়েছেন বিনামূল্যের সেলাই মেশিন।
সোমবার বিকালে যশোর টাউন হল মাঠে নিউজ পোর্টাল ওয়ান নিউজ বিডি’র পক্ষ থেকে এই সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সেলাই মেশিন বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, আগামীতে রাষ্ট্র গঠনে বিএনপি সুযোগ পেলে দেশের দরিদ্র নারীদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নারীদেরকে পরিবারিক কার্ড দেবেন। ওই কার্ডধারী নারী প্রতিমাসে সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যবাদি ক্রয়ের জন্য ৫ হাজার টাকার সমপরিমান পণ্য সংগ্রহ করতে পারবে।
তিনি বলেন, এদেশের বিধবা নারীদের জন্য সর্ব প্রথম কার্ড ব্যবস্থা চালু করেন বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। অথচ বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে এই কার্ড নিয়ে নয়-ছয় করা হয়েছে।
আল-মামুন শাওন বলেন, যে সকল মা বোন সেলাই মেশিন পেয়েছেন তারা এবার নতুন উদ্যমে স্বপ্ন বুনবেন। পৃথিবীতে এমন নজির আছে যে, একটি সেলাই মেশিন দিয়ে কাজ করে গার্মেন্টসের মালিক হয়েছেন। আমার বিশ্বাস আপনরা গার্মেন্টসের মালিক না হতে পারলেও নিজ নিজ সংসারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারবেন। তিনি বলেন, আমি চায় আপনরা ভাল থাকেন।