বেনাপোলে পাসপোর্টযাত্রীর জাল ভ্রমণকর সরবরাহের অভিযোগে শামিম আটক

বেনাপোল চেকপোস্টে ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ভারতগামী এক কলেজ পড়ুয়া পাসপোর্টযাত্রীকে জাল ভ্রমণকর সরবরাহের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক শামিম হোসেনকে (৩৬) আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে কাস্টমস ও এপিবিএন পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়।পরে তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটক শামিম বেনাপোল পৌরসভার সাদিপুর গ্রামের স্বর্ণ চোরাচালানি মোমিন চৌধুরীর ছেলে।
এর আগে শামিম ভ্রমণকর জালিয়াতির অভিযোগে দুইবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। জামিনে মুক্ত হয়ে সে পুনরায় একই অপকর্মে লিপ্ত হয়। তার পিতা মোমিন চৌধুরীও স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে একাধিকবার জেল খেটেছেন এবং বর্তমানে জামিনে আছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়,ভারতীয় নাগরিক বেলাল আহমেদ (পাসপোর্ট নং- ঞ-৪৩৩৭০১২) ঢাকা আশিয়ান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। ঢাকা থেকে বেনাপোলে এসে তিনি ট্রাভেল পয়েন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে সরকারি ভ্রমণকর অনলাইনে জমা দেন। তবে ভারতে যাওয়ার সময় কাস্টমস চেকপয়েন্টে তার ভ্রমণকরের রশিদটি জাল বলে প্রমাণিত হয়।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএন পুলিশের পরিদর্শক সন্তু বিশ্বাস জানান, যাত্রী বেলাল আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা যায়, ট্রাভেল পয়েন্ট নামের প্রতিষ্ঠান থেকে ওই জাল রশিদ সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক শামিম হোসেন এ কাজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল গনি জানান, কাস্টমস বিভাগ সবসময় জাল ভ্রমণকর শনাক্ত করার ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে এবং নিয়মিত চেকিং করা হয়।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া জানান,শামিম হোসেনের বিরুদ্ধে এপিবিএন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করেছে এবং তাকে যশোর আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একই ধরনের দুটি মামলা রয়েছে, কিন্তু জামিনে মুক্ত হয়ে সে আবারও এই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।