যশোরে ১৯৭১ সালের ৪ মার্চ সংঘটিত বর্বর গণহত্যা স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট, যশোর জেলা শাখা। সভায় বক্তারা একাত্তরের গণহত্যার বিচার ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী লড়াইকে জোরদার করার আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, ‘একাত্তরের গণহত্যায় জড়িত খুনিরা আজও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ‘৭১-এর ইতিহাস অস্বীকার করার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। সেই সময়ের গণহত্যায় ইন্ধনদাতা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণহত্যায় মদদ দিয়ে যাচ্ছে। তাদের আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের ফলে আজ গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।থ এমন পরিস্থিতিতে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করার ওপর বক্তারা জোর দেন।
সভায় বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার সঙ্গে জড়িত দেশীয় দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং গণহত্যার শিকার শহীদদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
বাম গণতান্ত্রিক জোট যশোর জেলার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিবি যশোর জেলার সাধারণ সম্পাদক ইলাহদাদ খান, সিপিবির সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, বাসদ যশোর জেলার সমন্বয়ক শাহজাহান আলী, উদীচী যশোর জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, শহীদ পরিবারের সদস্য হাসিনুর রহমান, রিয়াদূর রহমান, গ্রেগরি সরদার, কাজী মফিজুল হক, সওগত কামাল দ্বীপ প্রমুখ।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যশোর জেলা সম্পাদক তসলিম উর রহমান।
বক্তারা বলেন, একাত্তরের খুনিরা এখনও বিচারের বাইরে রয়েছে। তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এবং ৭১-এর চেতনাকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। বক্তারা পাকিস্তানি দোসরদের পাশাপাশি দিল্লির ফ্যাসিস্ট শক্তি শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৪ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীরা যশোর রেল স্টেশন মাদ্রাসাসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বহু মানুষকে হত্যা করে।