সারাদেশে এক রেটে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য আইএসপিগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সম্প্রতি বিটিআরসি এক নির্দেশনায় মহানগর, জেলা শহর, উপজেলা এবং ইউনিয়নপর্যায়ে পাঁচ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট মাসিক সর্বোচ্চ ৪শ টাকায় দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসংগত পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য একটি বাস্তবসম্মত এবং গ্রাহকবান্ধব ইন্টারনেট ট্যারিফ প্রণয়নে সরকারিবেসরকারি সব ধরনের আইএসপিদের জন্য বিটিআরসি একটি খসড়া ট্যারিফ প্রস্তুত করে তা অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠায় এবং পরবর্তীতে সরকার ট্যারিফটি অনুমোদন করেন।
এ ছাড়াও সারাদেশে ১০ এমবিপিএস ৭শ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ১১শ টাকা।
ট্যারিফের শর্তাবলি:
বিটিআরসি’র লাইসেন্সধারী সকল সরকারি/বেসরকারি বিভিন্ন ধরনের আইএসপি প্রতিষ্ঠানের জন্য উল্লিখিত ট্যারিফটি ১ জুলাই থেকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরের জন্য নির্ধারিত থাকবে এবং পরবর্তীতে নতুন করে ট্যারিফ নির্ধারিত না হলে কমিশনের অনুমোদনক্রমে তা বলবৎ থাকবে। তবে কমিশন বাজার চাহিদা ও গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় যে কোনো সময় তা পরিবর্তন করতে পারবে।
গ্রাহক সেবা ও সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় জরিমানা শর্তসহ সেবার মান বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে এ, বি, সি গ্রেড মোতাবেক গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখতে প্রতিটি আইএসপি বাধ্য থাকবে। সব ধরনের আইএসপির ক্ষেত্রে গ্রাহক পাঁচদিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মাসিক বিল ৫০ শতাংশ দেবে, ১০ দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মাসিক বিলের ২৫ শতাংশ দেবে এবং ১৫ দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে ওই মাসে কোন মাসিক বিল দেবে না।
সরকারের অনুমোদিত ইন্টারনেট স্পিড সর্বনিম্ন সীমা পাঁচ এমবওপিএস বিদ্যমান রেখে ট্যারিফের তালিকা অনুযায়ী ৫, ১০, ২০ অথবা কামেকশন র্যাশিও ১:৮-কে আনুপাতিক হারে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে কমিশনের অনুমোদনক্রমে গ্রাহকদের আইএসপি অন্যান্য প্রোডাক্টসেবা দিতে পারবে।
কমিশন থেকে অনুমোদিত ট্যারিফ চার্ট আইএসপিদের নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং অনুমোদিত সেবা বা ট্যারিফে কোনো ধরনের পরিবর্তন বা সংযোজন গ্রহণযোগ্য নয়।
ট্যারিফের বাইরে অনুমোদন ব্যতীত কোন সেবা/প্রোডাক্ট পরিচালনা করলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনানুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমিশন আইনি ব্যবস্থা নেবে।
গ্রাহক অভিযোগ (টিকেটিং নাম্বারসহ) দ্রুততার সাথে সমাধান করতে হবে, গ্রাহকের কোন অভিযোগপ্রাপ্ত হলে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে এবং গ্রাহক অভিযোগ ও অভিযোগ সমাধানের তথ্য কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।