ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাকের গালিবাফ বলেছেন, তেলআবিবের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে তেহরান তাদের আকাশ ও স্থল—উভয় সত্তাকেই ধ্বংস করেছে।
বুধবার (২ জুলাই) তেহরানের গ্র্যান্ড মোসালায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ কথা বলেন।
ইরানি স্পিকার বলেন, ‘সাহসী ইরানি সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন থেকে উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বে ইহুদিবাদী সত্তাকে ধ্বংস করেছে। ’
তিনি বলেন, ‘শত্রুরা ভেবেছিল ইসলামী ইরানের মহৎ জাতি বিশ্বাসঘাতকতা করছে, কিন্তু জাতি ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছে এবং বিজয়ী হয়েছে। ’
স্পিকার ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ-স্তরের শক্তির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘দখলকৃত ইসরাইলের দক্ষিণে বে’র শেভাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক দুর্গে শুধুমাত্র একটি ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে, যা সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ-স্তরের শক্তি প্রমাণ করেছে। ’
বাঘের গালিবাফ উল্লেখ করেন, ‘অনেক মার্কিন একাডেমিক বিশ্বাস করেন, ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা মার্কিন সমর্থন ছাড়া একদিনও টিকে থাকতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরাইল সরকার সরাসরি মার্কিন সমর্থনে ইরানে আক্রমণ করেছিল এবং তাৎক্ষণিকভাবে ইরানের কাছ থেকে কঠোর জবাব পেয়েছে। ’
ইসরাইল গত ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে এবং ১২ দিন ধরে তেহরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকায় বিমান ও ড্রোন হামলা চালায়। ইসরাইলের সমর্থনে গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা- নাতাঞ্জ, ফোরদো ও ইস্ফাহানে বোমা হামলা চালায়।
ইসরাইলি হামলার পরপরই ইরানের সামরিক বাহিনী শক্তিশালী পাল্টা হামলা চালায়। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অ্যারোস্পেস ফোর্স অপারেশন ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’-এর অংশ হিসেবে ইসরাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে ২২ দফায় প্রতিশোধমূলক অভিযান চালায়। যেসব অভিযানে প্রায় ৪৫০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। যার ফলে ইসরাইলি শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এরপর ২৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দুদেশের মধ্যে ১২ দিন ধরে চলা যুদ্ধের অবসান হয়। ২৪ জুন থেকে কার্যকর হওয়া মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতির অধীনে এ সংঘর্ষ বন্ধ হয়ে যায়। সূত্র: সংবাদ সংস্থা মেহের