টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আরও একবার বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে ব্যর্থ হন সৌম্য সরকার। তার পথ ধরে দ্রুতই ফিরে যান আরেক ওপেনার লিটন দাসও। তামিমের অনুপস্থিতিতে ওপেনিংয়ে আবারও হোঁচট খেল বাংলাদেশ। শুরুর ধকল সামলে ইনিংসের মাঝে দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। মুশফিক ২৭ রানে আউট হওয়ার পর ব্যাট হাতে নামেন মাহমুদউল্লাহ। তিনিও দ্রুত ফিরে গেলে আরও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
তখনই দলের ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করে দলকে ১৪৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ দিকে সাব্বিরের ১৮ রানও ভূমিকা রাখে দলের এ সংগ্রহে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
১৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বেশ রক্ষণাত্মক খেলতে থাকেন আফগানরা। প্রথম দশ ওভারে তারা ৫৯ রান করে দুই উইকেট হারিয়ে। কিন্তু শেষ দিকে এসে আফগানদের ব্যাটিং তাণ্ডবে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের বোলিং লাইন-আপ।
১৭.২ ওভারেই ৮ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানিস্তানের ‘এ’ দল। এ হার একটি বার্তাও বটে বাংলাদেশের জন্য। আগামী ৩ তারিখ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দেরাদুনে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ।