স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা পেতে যাচ্ছে যশোরের শতাধিক কৃষক

নাজমুস সাকিব আকাশ, (খাজুরা) যশোর: যশোর সদরের ৪নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া, বড় বালিয়াডাঙ্গা ও ছোট বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ৬ শতাধিক বিঘা জমির ২ শতাধিক কৃষক বিএডিসির গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে এই সেচ সুবিধা পেতে যাচ্ছে। ১৯৭৪ সালে অত্র এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে একটি গভীর নলকূপ স্থাপিত হয়। তখন এই নলকূপে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করে ৩ গ্রামের এই মাঠে কৃষকেরা জমির সেচ কাজ চালাতো। পরবর্তীতে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৮৮ সালের দিকে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সেই সুযোগে বড় চাষীরা মাঠে ছোট ছোট ইঞ্জিন বসিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে অধিক মুনাফা লাভে ক্ষুদ্র ও বর্গাচাষীদের মাঝে পানি সরবারহ করে আসছিলো। যাতে করে কৃষকের ৩৩ শতাংশ জমিতে সেচ পানি দিতে ডিজেলসহ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান কৃষকেরা।

দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ এ প্রকল্পটি বন্ধ হওয়ার পর আড়পাড়া গ্রামের প্রকৌশলী সালাউদ্দিন রমেনের প্রচেষ্টাসহ ঐ এলাকার কৃষকদের প্রাণের দাবীতে গত ৫ জুন বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ বিভাগ যশোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম উক্ত এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন। এসময় ঐ তিন গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত ২ শতাধিক কৃষক বিএডিসির মাধ্যমে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায় এবং বিএডিসির সেচ প্রকল্পে গভীর নলকূপ স্থাপনে তারা মহাখুশী। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান সুবিধা বঞ্চিত কৃষকেরা।

পরিদর্শনকালে বিএডিসির এই কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুতের মাধ্যমে সেচ প্রকল্পে গভীর নলকূপ স্থাপন হলে কৃষকের প্রতি বিঘা জমিতে ৮০০ টাকা খরচ করে ফসল ঘরে তুলতে পারবে। এতে কৃষকের অনেক সাশ্রয় হবে এবং তারা চাষে আগ্রহী হবে। প্রকল্পটি পুনরায় চালু করতে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ, স্থাপন, বোরিং ও হাউজ নির্মাণসহ যাবতীয় ব্যায়ে সরকারের প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। বিএডিসির কর্মকর্তাদের পরিদর্শনকালে ও সুবিধা বঞ্চিত কৃষকদের মত বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ইসলাম, ছাদেক আলী, গোলাম রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, আলী হোসেন, মোশার্রেফ খোকন, আব্দুল মান্নান, হারুন-অর-রশিদ, লুৎফর রহমান, আব্দুর রহমানসহ তিন গ্রামের দুই শতাধিক কৃষক।