ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক জানান, আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভিড় করে। তাদের সড়িয়ে নিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ-র্যাব সদস্যদের।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শহিদুর রহমান জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আশেপাশে পানি সংকট থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়তে হয়। এক পর্যায়ে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গাঙ্গিনারপাড় হকার্স সুপার মার্কেটসহ পুরো গাঙ্গিনারপাড়, সি কে ঘোষ রোড়, দূর্গাবাড়ী, রামবাবু এলাকা।
এ দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন, রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে শহরের ভরাটকৃত পুকুরগুলো উদ্ধারপূর্বক খননেরও আশ্বাস দেন।
ময়মনসিংহ সরকারি বালিকা বিদ্যাময়ী পুকুরের পানিই ছিলো একমাত্র ভরসা। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এডিএম নায়িরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।