কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৭ জুন) এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
দেশের বিভিন্ন জেলার আদালতে বিচারাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বিচারিক আদালত সরকারের অধীনে কাজ করছে। সুপ্রিম কোর্টের অধীনে কাজ করছে না। তাদের জবাবদিহিতা এখন সুপ্রিম কোর্টের কাছে নেই, আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে চলে গেছে।’
কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মামলার জামিন আবেদন বিচারিক আদালতে শুনানির জন্য আগামী ৮ আগস্ট রাখা হয়েছে, যাতে করে এ সময়ের মধ্যে তাকে (খালেদা জিয়াকে) জেলে রাখা যায়।’
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন। অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানির জন্য সময় চান। এরপর আগামী রবিবার (১০ জুন) পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন আদালত।
২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমার ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
গত ২৮ মে কুমিল্লার একটি আদালতে গ্রেফতার দেখিয়ে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সেই আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারিক আদালত। কিন্তু তার আগেই ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৫ জুন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আবেদনটি শুনানির জন্য বৃহস্পতিবারের (৭ জুন) কার্যতালিকায় ছিল।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পর তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।