শনিবার রাজশাহীর নগরীর বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসে গিয়ে দেখা যায় কর্মীদের ব্যস্ততা। কেউ হিসেব নিচ্ছেন, কেউবা টাকা গুণছেন, কেউ কলম দিয়ে নম্বর ঠিকানা লিখছেন। আর শ্রমিকরা আমের ঝুড়ি বেঁধে মাথায় করে ট্রাকে সাজাচ্ছেন। কারো দম ফেলার ফুসরত নেই।
কুরিয়ার ব্যবসায়ীরা জানান, গতবারের চেয়ে এবার মানুষ একটু কম আম পাঠাচ্ছে। কারণ এবারের ঈদে সবাই ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসায় এসে ঈদ করবে। এবং বাসায় এসে ঈদ কাটিয়ে আম নিয়ে যাবেন তারা। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, সবাই এখন শুধু গোপালভোগ আম বেশি পাঠাচ্ছে। তবে এই সপ্তাহ শেষ হলেই বিভিন্ন জাতের আম উঠবে তখন আমাদের ব্যবসা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।
করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিস এর ম্যানেজার আলোম হোসেন জানান, গতবারের চেয়ে এবার কম আম পাঠাচ্ছে মানুষ। প্রতিদিন এখন ২২০ ঝুড়ির মতো আম যাচ্ছে। এই ২২০ ঝুড়িতে ১০০ মণ আম থাকে। আমরা কেজি প্রতি ১২ টাকা করে রাখছি। আশা করি ঈদের পরেই আমাদের ব্যবসা আরো ভালো হবে। কারণ এর মাঝে ল্যাংড়া আম আসলে মানুষ আরো বেশি আম পাঠাবে।
করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসে ঢাকায় আম পাঠাতে এসেছেন নগরীর মোহম্মদ আলী। তিনি জানান, ঢাকায় মাঝে মাঝে কয়েক মণ করে আম পাঠানো হয় আমার। আজ আট মণ আম পাঠাচ্ছি।
এদিকে এসএ পরিবহনের ম্যানেজার সাফিউল ইসলাম জানান, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের সার্ভিস রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ মণ আম আমরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছি। এবার গতবারের চেয়ে ব্যবসা একটু কম হচ্ছে। ল্যাংড়া এবং আরো অনেক জাতের আম উঠলে মানুষ আরো বেশি আম পাঠাবে, তখন ব্যবসা ভালো হবে। আমারা ১৫ টাকা কেজিতে আম পাঠাচ্ছি। আশা রাখছি ঈদের পরেই আমাদের ব্যবসা আরো জমজমাট হবে।