মামলার বাদি মো. মিজানুর রহমান খাঁন এজাহারে উল্লেখ করেন— চিত্রনায়িকা সাদিয়া আফরিনের সাথে ফেসবুকে তার পরিচয় হয় ২০১৩ সালে। পরিচয়ের সূত্রে সাদিয়া বলেন— আমার স্বামী বিদ্যুৎ কুমার সাহা ওরফে সৌরভ সিনেমা প্রযোজনা করেন এবং আপনি আমাদের নির্মিত ছবিতে বিনিয়োগ করলে ব্যাপক লাভবান হবেন।
বিশ্বস্ততা ও সিনেমার নানান লাভের দিক দেখিয়ে সাদিয়া আফরিন ও তার স্বামী তাদের কাছে মিজানুর রহমানকে ৩ কোটি টাকা সিনেমায় বিনিয়োগ করতে প্রলুব্ধ করেন। যার প্রেক্ষিতে মিজানুর রহমান পর্যায়ক্রমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিকাশ ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা তাদেরকে প্রদান করেন।
বেশ কিছুদিন পার হওয়ার পর তাদেরকে বার বার তাগাদা দিলেও তারা সিনেমা না বানিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এরপর টাকা ফেরত চাইলে চিত্রনায়িকা সাদিয়া আফরিন মিজানুরকে সাফ জানিয়ে দেয় সে টাকা দিতে পারবে না, আপনি যা পারেন করেন ।
উপায়ান্তর না দেখে মিজানুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেন। মামলাটি সিআইডি অধিগ্রহণ করার পর বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহর তত্ত্বাবধানে সিআইডি অর্গানাইজড ক্রাইম (সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াড)-এর একটি বিশেষ দল চিত্রনায়িকা সাদিয়া আফরিন ও তার স্বামীকে গত ১২/০৬/২০১৮ ইং তারিখে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।