যশোরের বেড়গোবিন্দপুর বাওড় ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর: যশোরের চৌগাছা উপজেলার বেড়গোবিন্দপুর বাওড় ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার ক্ষুদ্ধ মৎস্যজীবীরা জেলা প্রশাসকের কাছে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেওয়ার আগে-পরে ভুক্তভোগীরা কালেক্টরেট চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় মৎস্যজীবী সঞ্জয় কুমার, বিকাশ কুমার, উজ্জল হালদারসহ অনেকে বেড়গোবিন্দপুর বাওড়টির ব্যবস্থাপক ইমদান হোসেনের বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য দেন।

তারা জানান, ২১৭ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট সরকারি বাওড়টি গোপনে স্থানীয় ১১ প্রভাবশালীর কাছে ইজারা দিয়েছেন ম্যানেজার ইমদাদ হোসেন। গত ১০/১২ দিনে বাওড় থেকে গোপনে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মাছ ধরে বিক্রি করা হয়েছে। প্রকৃত মৎস্যচাষিদের বাদ দিয়ে অন্যদের মাধ্যমে মাছ ধরা হচ্ছে। বংশ পরম্পরায় মৎস্যজীবীদের এখন বাওড়েই নামতে দেওয়া হচ্ছে না।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, বাওড় পাড়ের দুই শতাধিক মৎস্যজীবী পরিবার মাছ উৎপাদন কাজে সাহায্য ও আহরণ করে জীবীকা নির্বাহ করে। বর্তমানে বাওড়টি লিজ দেওয়ায় তারা সবকিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এজন্য তারা মানবেতন জীবনযাপন করছেন। এসব বিষয়ে তারা জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অভিযোগপত্রে এলাকার ৩২ জন কার্ডধারী মৎস্যজীবীর স্বাক্ষর রয়েছে। অভিযোগপত্রটি জেলা প্রশাসকের পক্ষে গ্রহণ করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগকারীরা হলেন, সঞ্জয় কুমার, বিকাশ কুমার, উজ্জ্বল হালদার, বিশনো হালদার, বিশ্বনাথ বসু, বাদল কুমার, প্রকাশ হালদার, ষষ্ঠীহালদার, সুশীল হালদার, প্রকাশ বিশ্বাস, বিকাশ হালদার, প্রসেনজিত কুমার, আব্দুল আলিম, সবুর বিশ্বাস, নেয়ামত আরী, আব্দুল মোতালেব, রেজাউল বিশ্বাস, বাদল উদ্দিন, সাহেব আলী, তফিকুল ইসলাম,আলী হোসেন, আবুল কালাম, জহর আলী ঝড়ু, শুকুর আলী, মহিদুল ইসলাম,আশরাফুল ইসলাম, মমিনূর রহমান, শুকুর আলী, ইব্রাহিম হোসেন, কামাল উদ্দীন ও বদর উদ্দিন।