সম্প্রতি সুইডিস ন্যাশনাল ফুড অথোরিটির একটি গবেষণায় সামনে এসেছে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক্রাইলামাইড বা এক্রিলামাইড প্রাকৃতিক ভাবে সংগঠিত এমন এক প্রকার রাসায়নিক যৌগ যা উচ্চক্ষম শর্করা বহনকারী শস্য বা সবজিতে থাকে এবং উচ্চতাপ মাত্রায় উত্তপ্ত হলে সেই যৌগ গঠনে সক্ষম হয়। মানুষের আয়ু কমানোর জন্য এই রাসায়নিক যৌগটির যেমন বিশেষ ভুমিকা রয়েছে তেমনি এটি ক্যান্সারের কোষকে দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে বলে মত এই সুইস গবেষকদের।
এ কথা আমরা সকলেই জানি যে, আলু এক রকম উচ্চ শ্বেতসার সমৃদ্ধ সবজি বা শস্য।
এই আলুর অতি পাতলা করে কাটা টুকরো অতিরিক্ত নুন মাখিয়ে ডুবো তেলে অনেক ক্ষণ ধরে ভাজার পর তা সংরক্ষণ করতে উচ্চতাপমাত্রার ব্যবহার করা হয়। ফলে এর খাদ্যগুণ অনেকাংশেই নষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, এই পদ্ধতিতে প্যাকেটজাত আলুর চিপসে এক্রাইলামাইড জাতীয় ক্ষতিকারক রাসায়নিক যৌগ উৎপাদিত হয়। বিশ্বের একাধিক পুষ্টিবিদও এই ব্যাখ্যার সঙ্গে এক মত হয়েছেন। তাহলে কি নিরিহ আলু ভাজাও এখন ক্যান্সারের ভয়ে খাওয়া যাবে না?
পুষ্টিবিদদের মতে, ঘরে তৈরি আলু ভাজা খাওয়া যেতেই পারে। তবে কোনও কিছুই মাত্রাতিরিক্ত না খাওয়াই ভাল। তবে ছোট-বড় পটেটো চিপস তৈরির কারখানাগুলিতে প্যাকেটজাত করে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রকৃয়াকরণের যে পদ্ধতি, সমস্যা রয়েছে সেখানেই।
সূত্র: জি নিউজ