স্পোর্টস ডেস্ক : ২০ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতায় সমগ্র প্যারিস উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়। সব মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসে জাতীয় পতাকা নিয়ে নেচে গেয়ে আনন্দ উদযাপন করেছে। ফ্রান্সবাসীর উৎসব নির্বিঘ্ন করতে শহরের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ রাখা হয়। এরই মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত উদযাপন করতে গিয়ে প্রায় ৩০০ ফরাসিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। তবে, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ২৯২ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্যারিসের পুলিশ জানিয়েছে, শুধু সেখান থেকেই ৯৫ জনকে আটক করা হয়। তারা উদযাপনের মাঝেই বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে ৮৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এর মাঝে তিনটি শপিং মলে হামলা করে উদযাপনকারীদের একাংশ। সংঘর্ষের কারণে একজন মারাত্মক আহত হন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পুলিশ কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপ করে। কিছু লোক কাঁদানো গ্যাস থেকে বাঁচতে দোকানের গ্লাস ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। প্রায় ৭০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।
এর আগেও মাত্রাতিরিক্ত উদযাপনে ফ্রান্সে ২৭ জন গুরুতর আহত হন। প্রথম সেমি ফাইনালে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে ফ্রান্স। উদযাপনটা সেবার হয়তো মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গিয়েছিল। ফ্রান্সের নিস শহরে আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে অন্তত ২৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। ম্যাচ রেফারির শেষ বাঁশিতে তাই আনন্দে মেতে উঠে ফ্রান্সের ফুটবল পাগলরা। যারা নিসে জড়ো হয়েছিলেন বিগ স্ক্রিনে খেলা দেখতে তারাও মেতে উঠেছিলেন উন্মাদনায়। আনন্দ উদযাপন ছাড়িয়ে সেটা হয়ে যায় মাত্রাতিরিক্ত। নিসের খোলা জায়গায় উপস্থিত ফরাসিরা আনন্দ ভাগাভাগি করতে আতশবাজি ফোটান। সেখানেই ঘটে বিপত্তি।
স্থানীয় পুলিশ প্রসাশন থেকে জানানো হয়েছে, বাজি ফোটানোর সময় আশপাশের দোকানে আগুন ধরে যায়। আতঙ্কিত মানুষ দৌড়ানোর সময় পদদলিত হয়ে আহত হন। বেশিরভাগের গায়ে আগুন ধরে যায়। এছাড়া, বাজি বিস্ফোরিত হওয়ায় কাঁচের টুকরো গায়ে লেগে অনেকেই আহত হয়েছেন। জয়ের আনন্দে আত্মহারা হয়ে তারা নিজেরাই চেয়ার-টেবিল এমনকি বিয়ারের বোতল (কাঁচের) ভেঙেছিলেন।