দেশের বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ কথা বলেন একই সুরে। তাদের সকলেরই প্রশ্ন- ‘আর কবে শুধরাবে সাব্বির!’
হ্যাঁ, নতুন করে আবারো বিতর্কে জড়িয়েছেন জাতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটার সাব্বির রহমান। কয়েক মাস আগেই দর্শক পিটিয়ে ও আম্পায়ারদের গালি দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে হয়েছেন নিষিদ্ধ। গুনতে হয়েছে ২০ লাখ টাকা জরিমানা।
এখনো নিষেধাজ্ঞাও কাটেনি। এমনকি বাদ পড়েছেন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও। সেই ঘটনার রেশ এখনো তরতাজা। তারপরও এবার শোনা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এক ভক্তকে গালি ও হুমকি দিয়েছেন তিনি। তাও নিজের আইডির ওয়ালে প্রকাশ্যে। সেই ভক্তকে ব্লক করার আগে তিনি এ কাণ্ড ঘটান বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও সাব্বিরকে নিয়ে মুখ খুললেন। তবে ভীষণ বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ তিনি।
তিনি বলেন, ‘শুনেছি সাব্বিরের বিষয়ে। কিছু দিন আগেই তো ও অনেক বড় ধরনের শাস্তি পেয়েছে। কবে শুধরাবে জানিনা তবে তার বার বার এমন ঘটনাতে আমরা সত্যি বিব্রত। এবার বোর্ড সভাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আমরা এবার যতটা পারি কঠোর হবোই।’
সাব্বিরের এ ঘটনাটি মূলত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনা ঘটেছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের কাছে গিয়েও বাংলাদেশের হারের পর। বিশেষ করে এ হারের জন্য সাব্বিরকেই দায়ী করছে টাইগার ক্রিকেটের ভক্ত থেকে শুরু করে ক্রিকেট বোদ্ধারা। এমন হারের পর সাব্বিরের ফেসবুক আইডিতে ক্ষোভ ঝেরে কমেন্ট করেছিলেন এক ভক্ত। সাব্বির তাকে ফেসবুকে ব্লক করার আগে ওয়ালেই গালি দেন। হুমকিও দেন। সেই ভক্ত তার স্ক্রিন শট নিজের ফেসবুকের ওয়ালে পোস্ট করেছেন। তারপর থেকেই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হলেও ঘটনাটি আমলে নিয়েছে বিসিবি।
এ নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘যে কোনো মানুষের ব্যক্তিগত জীবন আছে, ক্রিকেটারেরও। কিন্তু সেটি যতক্ষণ ব্যক্তিগত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত। যখন প্রকাশ হবে লোক মুখে চলে আসবে তখন বিসিবির ইমেজের ক্ষতি হয়। কারণ তারা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে খেলে। বাংলাদেশের জন্য খেলে এতে দেশের ইমেজেরও ক্ষতি হয়। সাব্বিরই নয় এমন ঘটনাতো আরো কয়েকজন ক্রিকেটারের নামেই শুনছি। যেহেতু এখন এটি প্রকাশ্যে চলে এসেছে আমরা তদন্ত করে দেখবো। আর কঠোর যতটা হওয়ার হবো। এভাবে বার বার বিব্রত করলে চুপ করে থাকা যায় না। বিষয়গুলো আমাদের জন্য ভীষণ চিন্তার।’