সংবাদ প্রকাশের পর তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন যশোর উপশহর মহিলা কলেজের সেই শিক্ষক

বিশেষ প্রতিনিধি, যশোর: যশোর উপশহর মহিলা ডিগ্রি কলেজে ইংরেজি বিভাগের প্রধান সহকারি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিয়ে ওয়ান নিউজ বিডি সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন।

তার সহকর্মী শিক্ষকরা সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য প্রদান করেছে এমন সন্দেহ থেকে তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরণের কুটুক্তি করছেন। তার পক্ষের লোকজনের দিয়ে রবিবার অনেকের হুমকি-ধামকিও দিয়েছেন। ফলে অনেক সাধারণ শিক্ষক বিনা কারণে আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, সহকারি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে এসব তথ্য কে বা কারা সাংবাদিকদের কাছে প্রদান করেছে তা সাংবাদিকরাই ভাল জানে। অথচ বিনা কারণে আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। ওনার মত একজন সিনিয়র শিক্ষকের কাছ থেকে এ ধরণের ব্যবহার আমরা কেউ আশা করেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের অভ্যন্তরীন মির্টিংয়ে এমপিও ও ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারের কোন আর্থিক সুবিধা পান না তাই সভাপতির নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে তাদের জন্য মোটামুটি সুবিধাজনক হিসেবে ১৩ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ করা হবে। আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা স্কেল অনুযায়ী সরকারি বেতন-ভাতা পান। তাই কলেজ ফান্ড থেকে তাদের অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হবে। সবার সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পরই সহকারি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ক্ষেপে যান। তিনি (গোলাম মোস্তফা) অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে উদ্দেশ্য করে উদ্ধত্যপূর্ণ আচারণ করেন। তার সামনে থাকা একটি জগ ভেঙ্গে ফেলেন। আর সভাপতি সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদকে কুচুক্তি করে বলেন, ‘এ সভাপতিকে আমি মানি না। তিনি কলেজের জন্য কিছুই করেননি’। আর অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষকে উদ্দেশ্য করে কলেন, ‘অনার্স শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত ননএমপিও শিক্ষকদের কোনভাবেই এতো টাকা বেতন দেওয়া যাবে না’।
অনার্সের শিক্ষকরা তার প্রতিবাদ করলে তিনি (গোলাম মোস্তফা) তাদের হুমকি দেন। এ মির্টিংয়ে অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ সহ সকল এমপিও ও ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমস্ত ঘটনাকে লিখিতভাবে জানতে অধ্যক্ষ বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ ১৮ জুলাই উপাধ্যক্ষ ড. শাহানাজ পারভীনকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিতে সদস্য করা হয় গর্ভনিংবডির সদস্য রেজাউল ইসলাম বিন্দু, ফশিয়ার রহমান, সহকারি অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও সহকারি অধ্যাপক ফারহানা নাহিদকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটিকে ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।