আজিজুর রহমান, (চৌগাছা) যশোর: যশোরের চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি মল্লিকবাড়িতে চৌগাছা-যশোর সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, পথচারীসহ যনবাহন চালকরা। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটির উপর প্রায় দুইশ মিটার জুড়ে জলাবদ্ধতা ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে সড়কে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন যানবাহন পানির মধ্যে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
গ্রামবাসির অভিযোগ চৌগাছা উপজেলাবাসির যশোর জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়কপথ এই চৌগাছা-যশোর সড়ক। প্রায় ২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়কটির চৌগাছা-চুরামনকাঠি অংশের ১৭ কিলোমিটারের নানা স্থানেই খারাপ অবস্থা। এই অংশের বিভিন্ন জায়গায় পিচ ইট খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্তের। মাঝে-মধ্যে ভাঙ্গাচোরা-ছোট-বড় গর্তগুলি পুটিং করলেও দির্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। সড়কটির চৌগাছা উপজেলা সদর হতে মাত্র ৫ কিলোমিটার দুরত্বে সিংহঝুলি মল্লিক বাড়ি। স্থানীয় মল্লিকবাড়ি বাসষ্টান্ডের পশ্চিম পাশে সড়কটি প্রায় সারা বছরই পানির নিচে তলিয়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর দিচ্ছেন না।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ওই স্থানের সড়কের উপর প্রায় হাটু পানি জমে যায়। রোববার এবং সোমবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি না হলেও সড়কে হাটুপানি জমে থাকে। সোমবার দুপুরে একই মাল বোঝাই আলমসাধু (স্থানীয় যানবাহন) সড়কের ওই এলাকা পার হতে গিয়ে উল্টে পড়ে থাকে। প্রতিনিয়তই এভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে। ছোট-খাট এসব দুর্ঘটনায় কমবেশি আহত হচ্ছেন পথচারীরা। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পরে বলে তারা আশংকা করছেন। দিন রাত সারাক্ষণই সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে থাকায় সিংহঝুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ মসিয়ূর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিংহঝুলি আলিম মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়াও পথচারীসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচলে চরম ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি সড়কটি মেরামত করার সময়ে কালভার্ট স্থাপনসহ জরুরী ভিত্তিতে এই পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদ মল্লিক বলেন, সিংহঝুলি কারিগরপাড়া, কলুপাড়া মহল্লা ও এর আশপাশে এক সময় অসংখ্য পুকুর ছিল। বর্ষার পানি ওই সব পুকুরে নেমে যাওয়ায় সে সময় সড়কে কোন সমস্যা দেখা দিত না। বর্তমানে সড়কের পার্শ্বের বেশিরভাগ পুকুর ভরাট করে সেখানে বসতবাড়ি অথবা দোকান ঘর তৈরি হয়েছে। ফলে মহল্লা দুটির পানি বের হওয়ার আর কোন জায়গা নেই। তাই সামান্য বৃষ্টিতেও দুই মহল্লার পানি এসে এই সড়কের উপর জমা হচ্ছে। টানা বৃষ্টি হলে সড়কের সাথে দুই মহল্লার মানুষও পনি বন্দি হয়ে পড়ছেন।