ক্যান্সারে আক্রান্ত জুয়েল বাঁচতে চাই

স্টাফ রিপোর্টার: যশোর সরকারি সিটি কলেজ থেকে ২০১২ সালে এইচএসসি পাশ করেছে জুয়েল আহম্মেদ। ইচ্ছা ছিলো সকলের মতো পড়াশুনা করে একদিন অনেক বড় মানুষ হবে। পূরণ করবে বাবা-মায়ের অনেক স্বপ্ন। কিন্তু বিধি বাম। তার শরীরে বাসা বেধেছে মরণব্যধি ক্যান্সার। যে সময় টাতে তার মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করার কথা, বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়েমজা করার কথা, নিজের জীবনের লক্ষ্য পূরনে এগিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ঠিক সেই সময় ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে প্রয়াস গুনছে জুয়ের। ইট পাথরের এই শহরে বই-খাতা ছেড়েছে অনেক আগেই, বর্তমান তার ঠিকানা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের বারান্দায়। একটু সহযোগীতার জন্যে সারাদিন সংগ্রাম জুয়েল ও তার পিতা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক শাহীন আহম্মেদের।

শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে পিতা-মামা, দু’ভাই ও এক বোনকে নিয়ে জুয়েলের সংসার। পিতা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক। অনেক কষ্টে অপরের কাছ থেকে সহযোগীতা নিয়ে ছেলেকে এইচএসসি পাশ করিয়েছেন শাহীন। সংসারের বড় ছেলে জুয়েল। বর্তমান পিতার সাথে সংসারে সহযোগীতা করবার বদলে জুলেয় নিজেই জীবন বাঁচাতে অপরের সহযোগীতা সংগ্রহ করে বেড়াচ্ছেন।

মরণব্যধি ক্যান্সারের আক্রান্ত জুয়েলকে বাঁচতে হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চার-পাঁচ লাখ টাকার প্রয়োজন।
দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরেও সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরো অসুস্থ হয়ে পরেছে, তাকে আটটি ক্যেমো নেওয়ার পরামর্শ নিয়েছেন ডাক্তার। এমন অবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। কিন্তু পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা প্রথম অবস্থায় পাঁচ-ছয় লক্ষ টাকা খরচ করার পর এখন আর তার একার পক্ষে খরচ বহন করা সম্ভব না। কিন্তু তাই বলে কি আমরা জুয়েলের হেরে যেতে দেখতে পারি ?
জুয়েলের চাওয়াটা তো আর বেশি কিছু না শুধু সে চাই মা-বাবাকে নিয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে। আমরা কি পারি না জুয়েলের এই চাওয়াটা পূরন করতে।

সকলের সম্মিলিত সহযোগিতাই পারে জুয়েরের একটি সুস্থ সাভাবিক জীবন উপহার দিতে। তার জন্যে পরিবারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা কামনা করছেন। তাকে সাহায্য করবার ঠিকানা, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এর,এ ফার্মেসী সত্তাধিকারী দিদারুল হক জনি (০১৭১৪-৩৪১৭৭৪) ও (০১৭৭৮-৯৯৬৫৭৩ জুয়েল)।