শিক্ষার্থীদের ওপর ভর করেছে বিএনপি

ঢাকা: আন্দোলনের আর কোনো উপায় না পেয়ে এখন ছাত্রদের ওপর ভর করেছে বিএনপি। নিজেদের কিছু করার সক্ষমতা নেই। এর আগে কোটা আন্দোলনে ভর করে কোনো লাভ হয়নি তাদের। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপি’র সমর্থন প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আগামী অধিবেশনেই সড়ক পরিবহন আইন পাস করার চেষ্টা করা হবে।
সার্বিক বিষয় নিয়েই আইন করা হয়েছে। এতে সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে বলে তিনি আশা করেন।

আইনে কি আছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে ও নিয়ম কানুন মেনে সড়কে চলাচল করতে পারে এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব আছে। তারা (ছাত্ররা) কানে ফোন দিয়ে যখন রাস্তা পার হয় তখন তাদের খেয়াল থাকে না যে গাড়ি আসছে। মন্ত্রীদের আশ্বাসের পরও এখনো শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে উঠছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবির সমাধান সড়ক পরিবহন আইনে আছে। এই আইনটা পাস হলে ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হলে রাস্তায় পাখির মতো মানুষ মরার প্রবণতার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ হবে।

কঠিন আইন হলে সবাই সতর্ক হবে। বিচারের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা ও আইনি জটিলতা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আইনটা করা হবে বাস্তবায়নের জন্য। এসব বিষয় নিয়ে মন্ত্রিসভায় কথা হবে। আইন যদি সড়ক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে না পারে তাহলে সে আইনের তো প্রয়োজন নেই। মালিকরা অধিক টাকা জমা নেয় বলে চালকদের এই রেষারেষি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ বিষয়গুলোও পরবর্তী কেবিনেট মিটিংয়ে আলাপ করা হবে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে এসব কাজ পুলিশের করার কথা থাকলেও এখন সেই দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের কেন নিতে হলো, নতুন সড়ক পরিবহন আইন হওয়ার জন্য এসব রুটিন কাজও আটকে ছিল কি না- সেই প্রশ্ন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সামনে রাখেন সাংবাদিকরা।

উত্তরে তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী কি চেকিং করিনি আপনাদের (সাংবাদিক) নিয়ে, এটা কি কোনো দেশে করে? মন্ত্রী বলেন, আমি তো অলওয়েজ রাস্তায় ছিলাম। আমি অলওয়েজ একাজ গুলো করেছি। এটা তো নতুন তারা দেখাচ্ছে এমন তো না। এটা দেখিয়েছি বাংলাদেশে আমি। আমি রাস্তায় গিয়ে এসব চেকিং শুরু করেছি। নতুন সড়ক পরিবহন আইন পাস হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সহজ হবে মন্তব্য করে কাদের বলেন, “আইন হলে ইমপ্লিমেন্টেশন করার লিগ্যাল বাইন্ডিং তো থাকে। যারা আইন মানতে চায় না তাদের মানতেই হবে। আইনটা দরকার, আইনটা হলে আমি বা যেই মন্ত্রী থাকুক ইমপ্লিমেন্টেশন করার শক্তি পাবে। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, রাস্তায় গাড়ি নামাতে বেসরকারি পরিবহন মালিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। আমি তো বিআরটিসির গাড়ি চালু রেখেছি। বেসরকারি গাড়ির মালিকরা বলছে গাড়ি ভেঙে ফেলবে, পুড়িয়ে ফেলবে এ আতঙ্কে চালাতে রাজি হচ্ছে না। তারপরও চেষ্টা করা হচ্ছে আজতো মাত্রাটা (আন্দোলন) সেরকম না, দেখা যাক।