যশোরের চৌগাছার পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম শহিদের বিরুদ্ধে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে বাধা দেয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় চৌগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম হুসাইন বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশে উপজেলা ছাত্রলীগ চৌগাছার সকল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোকসভা ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী গ্রহণ করে।
গত ৬ আগষ্ঠ সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ পাশাপোল আম-জামতলা মডেল কলেজে শোকসভা ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করতে যাই। সেখানে কর্মসূচি যথাযথ ভাবে পালনের জন্য অধ্যক্ষের নিকট থেকে ৩ দিন আগেই আমরা অনুমতি নিই। সোমবার সকালে কলেজে পৌছলে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম পুনঃরায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে আলোচনা সভা ও বৃক্ষ রোপন করার কথা বলেন। অধ্যক্ষের কথানুযায়ী কলেজটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি চৌগাছা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক দেবাশিষ মিশ্র জয়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি অনুমতি দেন। এরপরও অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, এ কলেজে বঙ্গবন্ধুর কোন অনুষ্ঠান পালন করা যাবেনা। এ সময় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে পুনঃরায় অনুমতি চান। তবুও তার একই বক্তব্য এই কলেজে বঙ্গবন্ধুর কোন অনুষ্ঠান হবেনা। এ সময় ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার সভাপতি ইব্রাহীম হুসাইন অধ্যক্ষের নিকট জানতে চান আপনার অফিসে জাতীর পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই কেন? তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, এসব ছবির কোন প্রয়োজন নেই, আপনারা এখন যেতে পারেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম শহিদ যশোর সিটি কলেজের সাবেক ছাত্রদলের ক্যাডার এবং বর্তমানে চৌগাছা উপজেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এবং নারী কেলেংকারী থাকা সত্বেও অধ্যক্ষের মত এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি কিভাবে থাকেন তা আমাদের বোধগম্য নই। তার এ আচারণ রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল বলে আমরা মনে করছি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ছাত্রদের কর্মসূচি সফল করার লক্ষে আমি সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম এমনকি কলেজের সভাপতি মহোদয়ও অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেন। এমন সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যান আমাকে বলেন, আমাদের রাজনৈতিক সমস্যা আছে। আজ ছাত্রদের চলে যেতে বলুন অন্য সময় অনুষ্ঠান করা যাবে। অফিসে জাতীর পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্পর্কে তিনি বলেন, ছবি দু’টি নষ্ঠ হয়ে গেছে। তাই নতুন করে ছবি বাঁধাতে দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুজ্জামান রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক হাসেম আলী, চৌগাছা ডিগ্রী কলেজ শাখার সভাপতি আশিকুজ্জামান রিংকু, সাধারণ সম্পাদক মিকাঈল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা আকরামুল ইসলাম, জিহাদ হোসেন, রেফাউন ইসলাম, আল আমিন, আমজাদ হোসেন, শিহাব হোসেন, বিপুল হোসেন, আলমগীর হোসেন, রিপন, পাভেল, জিহাদ, সাগর হোসেন, সাজু আহম্মেদ, আকিমুল ইসলাম, রাসেল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।