উজবেকিস্তানের কাছে ৬-০ গোলের হার। অথচ এখনও দ্বিতীয় রাউন্ডের স্বপ্ন দেখছে কাতার। দেখতেই পারে। কারণ থাইল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে বাংলাদেশের মতো তাদের ঝুলিতেও রয়েছে এক পয়েন্ট। ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক এই কাতারকে আজ হারাতে হবে বাংলাদেশকে। তাহলেই বাস্তবে রূপ নেবে এশিয়ান গেমস ফুটবলে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার স্বপ্ন। জাকার্তার প্যাট্রিয়ট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
উজবেকিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হলেও কাতারকে খাটো করে দেখছেন না বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। তার কথায়, ‘কাতার উজবেকদের কাছে ছয় গোল হজম করলেও তাদের খাটো করে দেখছি না। কারণ দ্বিতীয় রাউন্ডের দরজা তাদের সামনেও খোলা আছে।’
গেমসের বি-গ্র“পে গাণিতিকভাবে কাতারের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সব কিছুই বাংলাদেশের অনুকূলে। বাংলাদেশ ড্র করলেও পরের রাউন্ডে যেতে পারে। তবে ড্র নয়, জয়ই লক্ষ্য জেমি ডে’র, ‘আমরা তিন পয়েন্টের জন্য খেলব। জয় পেলে আমাদের পরবর্তী রাউন্ডে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হবে।’
জেমি অনেকটাই নিশ্চিত বলেছেন, কারণ থাইল্যান্ড যদি আবার উজবেকদের হারায় তখন থাইল্যান্ডের পয়েন্ট হবে পাঁচ। বাংলাদেশকে তখন তৃতীয় স্থানে থেকে সেরা চারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচ ভিন্ন দুটি স্টেডিয়ামে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য একটু ভিন্ন কৌশলও রয়েছে জেমির। তার কথায়, ‘ম্যাচের কৌশল আমরা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ঠিক করব। যদি দেখি ৮০ মিনিটের দিকে ড্র করলেও চলে তখন ড্রয়ের জন্যই খেলব।’
প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কোচের মূল্যায়ন, ‘কাতার অনেক ভালো দল। তাদের গতিশীল ফুটবলার রয়েছে কয়েকজন। আমরা এই ব্যাপারে সচেতন রয়েছি।’
বাংলাদেশ কখনও এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পারেনি। এবার সেই অচলায়তন ভাঙার সম্ভাবনায় খেলোয়াড়রা উজ্জীবিত। গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা দু’ম্যাচে বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ করেছেন। এরপরও তার দুটি ছোট ভুলে গোল হজম করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। কাতারের বিপক্ষে ম্যাচে তাই বাড়তি সতর্ক হয়েই নামবেন রানা।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে জামাল ভূঁইয়াদের অনুপ্রেরণা অনূর্ধ্ব-১৬ দল। গত বছর কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলার যুবারা। ১৯৭৯ সালে জাতীয় দলের একটি গোলশূন্য ড্রয়েরও রেকর্ড রয়েছে। কাতার-পরীক্ষার আগে ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিনের মন্তব্য, ‘আগের ম্যাচে সুফিল গোল পেয়েছে। এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। নিজেদের সেরাটা খেললে কাতারকে হারানো সম্ভব।’
জাতীয় দলের সঙ্গে সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি অনেক দিন ধরেই কাজ করছেন। তিনিও আত্মবিশ্বাসী দল নিয়ে, ‘থাইল্যান্ডের বিপক্ষে পয়েন্ট পাওয়ার পর দলের চেহারাই পাল্টে গেছে। সবাই এখন পরের রাউন্ডে খেলার স্বপ্নে বিভোর। তাই বলে আমরা বাড়তি চাপ দিচ্ছি না তাদের। তারাও চাপ নিচ্ছে না।’
অতীতে এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে বাংলাদেশ অধিকাংশ সময় ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতার সাক্ষী মামুনুল ইসলাম। সাফের প্রস্তুতির জন্য এই দলের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। মামুনুলের বক্তব্য, ‘দলটা ভালো অবস্থায় আছে। জিতবে বলা যায় না। তবে জেতার সামর্থ্য তাদের রয়েছে।’