যশোরের মণিরামপুরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নৌকা ডুবে এক দাখিল পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ওই নৌকায় আরও ২৪ পরীক্ষার্থীসহ ৩০ জন যাত্রী থাকলেও বাকীরা সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠতে সক্ষম হন।
মৃত দাখিল পরীক্ষার্থী মৌসুমি উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে।
মঙ্গলবার সকালে পারখাজুরা বাওড়ে এই নৌকাডুবির পর বিকেলে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। মৌসুমি পারখাজুরা সিদ্দীকিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল।
নৌকায় থাকা একই মাদরাসার শিক্ষার্থী ফয়সাল জানায়, তারা ২৫ দাখিল পরিক্ষার্থীসহ ৩০ জন নৌকায় করে বাঁওড় পার হচ্ছিল। বাঁওড়ের মাঝখানে পৌছুলে হঠাৎ দমকা হাওয়ায় নৌকা উল্টে যায়। এসময় যে যার মতো সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠে। কিন্তু মৌসুমি বাওড়ের পানিতে ডুবে যায়।
পরে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে বাওড়ে জাল নামানোসহ মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের কর্মীরা উদ্ধার কাজে নেয়। পরে খুলনা থেকে প্রশিক্ষিত ৫ ডুবুরি উদ্ধারে কাজে যোগ দেন। এক পর্যায়ে যৌথ অভিযানের প্রায় দুই ঘন্টা পর মৌসুমীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
পারখাজুরা সিদ্দীকিয়া দাখিল মাদরাসা সুপার একেএম সিফাতুল্লাহ জানান, উপজেলার রাজগঞ্জে কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রতিদিনের মতো প্রতিষ্ঠানের ২৫ শিক্ষার্থী পারখাজুরা থেকে নৌকাযোগে নলতা ঘাটে যাচ্ছিল। নৌকা বাওড়ের মাঝখানে পৌছুলে হঠাৎ দমকা হাওয়ায় নৌকা ডুবে যায়। এসময় ২৪ শিক্ষার্থী সাঁতার কেটে পাড়ে উঠতে সক্ষম হলেও মৌসুমি উঠতে পারেনি। বাকি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বলে তিনি জানান।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের কর্মীরা। পরে খুলনা থেকে প্রশিক্ষিত ৫ ডুবুরিসহ তাদের যৌথ অভিযানের প্রায় দুই ঘন্টা পর নিখোঁজের মরদেহ উদ্ধার করেন।