শিশুদের মধ্যে পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতে এবং বাঙালির এই ঐহিহ্য সংস্কৃতির বর্ণাঢ্য আয়োজনকে সবার সামনে তুলে ধরতে পিঠা উৎসব প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছে যশোরের খাজুরা এলাকার পার্বতীপুর ন্যাশনাল প্রি-কাডেট স্কুল।
বুধবার দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল স্কুলটির বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন ছিলো পিঠা উৎসব প্রতিযোগীতা। খাজুরা ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার সার্বিক সহযোগিতায় পিঠা উৎসবের এই প্রতিযোগীতায় ৩৫জন মায়েরা অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রায় ১০০ রকমের পিঠার প্রদর্শনী করা হয়।
এ প্রতিযোগীতায় রত্না রানী সাহা প্রথম, রিয়া খাতুন দ্বিতীয় ও শারমিন আক্তার তৃতীয়স্থান অর্জন করে।
উৎসবটিতে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিয়ের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাখাওয়াত হোসেন, যশোরের সেলস্ অফিসার রফিকুল ইসলাম, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ ফরিদুজ্জামান, খাজুরা ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার পরিচালক বুলবুল আশরাফ, খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পিঠা উৎসবের আয়োজক স্কুলটির প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন লিটন বলেন, বিলুপ্ত প্রায় গ্রাম বাংলার পিঠার ঐতিহ্য এই প্রজন্মের শিশুদের মাঝে পরিচিত করতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পড়ালেখা ও খেলাধুলার পাশাপাশি এ ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও নৈতিক দ্বায়িত্ববোধ বাড়াবে। প্রতি বছর এরকম আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে উৎসবটি উপলক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও এলাকাবাসীদের আগমনে স্কুল প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। নেচে গেয়ে, হই-হুল্লা করে ওই স্কুলের ছোট শিশু শিক্ষার্থীরা দিনটি অতিবাহিত করে। শিশুদের আবৃতি, গান, নৃত্য ও কৌতুক পিঠা উৎসবে আসা অতিথিদের মুগ্ধ করে। পরে বিকালে স্কুলের সভাপতি মোঃ সালাহউদ্দিন লস্কারের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ লস্কার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবার উন্নয়ন ফাউন্ডেশনর পরিচালক মোঃ আমিরুল ইসলাম, চন্ডিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।