যশোরে চাঁদার দাবিতে সাজু চৌধুরী (২৫) নামে এক ওয়েল্ডিং মিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছালছাবিল ইসলাম জিসান ও তার সহযোগীরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পরিবার ও পুলিশের দাবি। বুধবার রাত ১১টার দিকে শহরের বিমান অফিস মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাজু চৌধুরী শহরের পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকার স্বপন চৌধুরীর ছেলে।
কোতয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, বুধবার রাতে শহরের বিমান অফিসের সামনে সাজু চৌধুরীর মাথায় আঘাত করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিসান। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়েছে।
সাজুর বড় ভাই রাজু চৌধুরী জানান, বুধবার রাতে সাজু ওষুধ আনার জন্য চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে (বিমান অফিস মোড়) যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
নিহতের বাবা স্বপন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ লাইন টালিখোলায় ভাই ভাই নামে তার একটি ওয়েল্ডিং কারখানা আছে। তার দুই ছেলে ওই কারখানাটি চালায়। যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছালছাবিল আহমেদ জিসান তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় বুধবার রাতে জিসানের নির্দেশে পাভেল, রাব্বি, জনিসহ ৮/১০জন ক্যাডার সাজু উপর হামলা করে। পরে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে তার মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছালছাবিল আহমেদ জিসানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযাগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।