ত্রিদেশীয় সিরিজের পয়েন্ট পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন রোডসের

বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। যদিও এই মুহূর্তে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে টাইগাররা। তবু টুর্নামেন্টের পয়েন্ট পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস।

গতকাল ডাবলিনের ম্যালাহাইডে ছিল বৃষ্টির দাপট। ফলে মাঠে গড়াতে পারেনি ম্যাচ। তাই দুই দলকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশ পেয়েছে ২ পয়েন্ট। কিন্তু বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ম্যাচ জিতে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট ও সাথে একটি বোনাস পয়েন্টও তুলে নেওয়া।

ত্রিদেশীয় সিরিজে বোনাস পয়েন্ট সিস্টেম রাখা হয়েছে। দল যদি বড় ব্যবধানে জেতে তবে বাড়তি একটি বোনাস পয়েন্ট পাবে তারা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৬ রানে জিতে বোনাস পয়েন্ট পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে এক ম্যাচ জিতেই তাদের পয়েন্ট ৫। গতকাল বাংলাদেশেরও সেই লক্ষ্য ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ২ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকলেও মাঠে নামতে না পারায় হতাশ বাংলাদেশের কোচ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাশরাফিদের যা রেকর্ড তাতে অনায়াসেই জয় পেতে পারতো টাইগাররা। কিন্তু সেটা না হওয়ায় নিজের হতাশা লুকাতে পারেননি রোডস, ‘একটু তো হতাশা আছেই। আমরা ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলাম। এটা আমাদের আরো ভালো অবস্থানে নিয়ে যেত। সেটা না হওয়ায় একটু হতাশ। আমরা দুই পয়েন্টের চেয়ে বেশিই চেয়েছিলাম।’

এদিকে বৃষ্টিও চিন্তা ফেলেছে টাইগার কোচকে। গত পরশু বৃষ্টির কারণে অনুশীলন করতে পারেনি দল। আর কাল তো ম্যাচই পণ্ড হয়ে গেছে। তাই সামনের ম্যাচ ও অনুশীলন নিয়ে কিছুটা চিন্তায় তিনি, ‘এই সময়ে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডে বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে থাকে। সামনে আমাদের অনেক ম্যাচ আছে। কালও যদি বৃষ্টি হয়, সেটি হবে চিন্তার। আমাদের অনুশীলনটা করা হবে না। আশা করি সব ঠিক থাকবে।’

সেই সাথে টুর্নামেন্টের পয়েন্ট পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের কোচ, ‘পদ্ধতিটা অদ্ভুত। কারণ বোনাস পয়েন্টসহ জিতলে ৫ পয়েন্ট। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া মানে ৩ পয়েন্ট হারানো। গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোয় হওয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই পদ্ধতি ঠিক আছে। স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ডে বৃষ্টিতে খেলা ভেসে যাওয়া নিয়মিত ঘটনা। আর বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া ম্যাচগুলোয় দলগুলোর হারানোর অনেক কিছু থাকে। এটার দিকে আয়োজকদের নজর দেওয়ার দরকার।’