নিয়ন্ত্রনহীন ঝিকরগাছা বাজার। এ যেন দেখার কেউ নেই। রমজানের শুরুতে যশোরের ঝিকরগাছায় দ্রব্যমূল্যের দাম উর্দ্ধমুখি। বিশেষ করে সোলা, চিনি, খেজুর ও ডালের দাম আকাশ ছোঁয়। এছাড়া তরিতরকারি, মাছ ও মাংসের বাজারদরও অনেক বেশি লক্ষ্য করাগেছে।
সরেজমিনে ঝিকরগাছা বাজারে ঘুরে দেখাগেছে, গত এক সপ্তাহর ব্যবধানে প্রতিটি মালের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন সোলা প্রতিকেজি ৭৫ টাকা, চিনি ৫৬ থেকে ৬৬ টাকা, গোলু বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা, খোলা সোয়াবিন ৮৫-৯৫ টাকা, ৫ লিটারের সোয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা, পামওয়েল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, ৩৫ টাকার ময়দা ৪০টাকা, ৩৫ সেমাই ৪০ টাকা, মুশুরডাল দেশী ১০০ টাকা, বিদেশী ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, মুগডাল ১০০ টাকা, সোলার ডাল ৭৫-৮০ টাকা।
মৌসুমি ফল লিটু ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, পাঁকাকলা ৫০-৬০ টাকা কেজি, খেজুর ১২০ থেকে প্রকার ভেদে ৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আঙ্গুর ২৫০-২৬০টাকা কেজি, ডালিম (বেদানা) ২২০-২৫০ টাকা, তমমুজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, প্রতিকেজি আম ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি ওজনের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম একলাপে ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। চাষের তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। ইলিশ মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়। এছাড়া ৩/৪ পিচে কেজির জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা কেজি।
মাংসের দামও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশি মুরগি প্রতিকেজি ৪৫০-৪৭০ টাকা। ফার্মের ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, ফ্রার্মের সোনালী মুরগী ২৫০-২৬০, প্যারেন্স ২৫০ টাকা। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা। খাসির মাংস প্রতিকেজি ৭০০-৭৫০ টাকা ।
কাঁচা মরিচের ৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ১৯০-২০০ টাকা, পিয়াজ দেশি ২৫-৩০, রসুন ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পটল, উচ্ছে, কাঁচকলা, টমেটো, কচুলতি, সবুজশাক, লালশাক, ঢেঁড়স/ভেন্ডি, মিষ্টিকুমড়া, মানকচুর দাম বেড়েছে প্রতিকেজিতে ১০/১৫টাকা। প্রতিকেজি টমোটো ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডাটা,পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা। কচুরলতি ৩০ টাকা, ১০ টাকা কেজির শসার বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। প্রতিজোড়া কাগুঁজে লেবু ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানাগেছে।
রমাজনের শুরুতে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির বিষয় জানতে চাইলে কয়েকজন ব্যাবসায়ী জানিয়েছেন ক্রেতারা অতিরিক্ত মালামাল ক্রয় করার কারনে চাহিদা একটু বেশি। চাহিদা বেশি হলে দাম কিছুটা বৃদ্ধি হওয়াটাই স্বাভাবিক বলেও মনে করেন ওই ব্যবসায়ীরা। দোকানদাররা যারযার ইচ্ছেমত দাম নিচ্ছে ক্রেতাদের নিকট থেকে। সবমিলে ঝিকরগাছা বাজার নিয়ন্ত্রনহীন বলে অসংখ্য ক্রেতা দাবি করেছেন। এদিন বাজারদর নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে থাকা কাউকে বাজারে দেখা যায়নি।