প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পুনাক মেলার দোকানীরা ফেরত পেল মালামাল

পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) যশোরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ঈদ আনন্দ মেলার আয়োজক কমিটির প্রধান মাসুদুর রহমান মিলনের কাছ থেকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল ফেরত পেয়েছেন। শনিবার দিনভর কোতোয়ালী থানায় পুলিশের আহবানে দু’পক্ষের উপস্থিতিতে এ সমস্যার সমাধান হয়। তবে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এ বৈঠাকে আসতে না পারলেও বাকি টাকা দিয়ে আয়োজক কমিটির কাছে মালামাল ফেরতের আশ্বাস পান। রাতে ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল বুঝে পেয়ে যশোর ত্যাগ করেন।

এ সময় ব্যাবসায়ীরা ওয়ান নিউজ বিডি যশোরের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ও পুলিশের জরুরী পদক্ষেপের ভূয়শী প্রশংসা করেন ব্যবসায়ীরা। একই সাথে এদিন পুলিশ মাঠ থেকে আয়োজক কমিটির বাঁশ-খুটি অপসরণ করার কাজ শুরু হয়েছে।

তবে, এদিন নতুন করে সিটি প্লাজার এক প্রতারক সে পুলিশের সামনে জাল বিল ভাউচার দেখিয়ে ২৫ হাজার টাকা মোবাইল ফোন বাকি নেয়ার কথা বলে ভুক্তভোগি এক ব্যবসায়ীর কাছে টাকা দাবী করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়, তার সিটি প্লাজায় দোকান আছে ঠিকই কিন্তু সেটা মোবাইল সামগ্রীর দোকান ওই দোকানে এ যাবৎ কাল কোনো মোবাইলই বিক্রি হয়নি। কিছু সময় পর ওই প্রতারক থানা থেকে পালিয়ে যায়। দিনব্যাপী থানায় দু’পক্ষের বৈঠাক শেষে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের শহরের একটি অভিজাত হোটেলে খাবারের আয়োজন করে। পরে সবাইকে ছাড়পত্র দিয়ে মালামাল বুঝিয়ে দেন।

তবে এ বৈঠকে মেলা আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মিলন উপস্থিত থাকলেও আরেক পার্টনার শাহীন ওরফে মেলা শাহীননে থানায় দেখা যায়নি।

উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার মেলার আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মাসুদুর রহমান মিলন ও তার পার্টনার শাহীন ওরফে মেলা শাহীনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা। অভিযোগে তাদের ২৫ লাখ টাকার মালামাল আটকে রেখে অভিযুক্তরা খুন ও জখমের হুমকি দিচ্ছেন বলে জানানো হয়।
তারা বলেন, মেলা শেষ হলে ছাড় পত্র আনতে গেলে তাদের কাছে পাওনা টাকার থেকে কয়েকগুন টাকা দাবি করে তাদের দোকানের সকল মালামাল মেলার মাঠ থেকে নিয়ে চলে যায়। পরে তাদের মালামাল ফেরত চাইলে নানা ধরনের তালবাহানা করতে থাকে।

এ বিষয়ে মেলার আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মাসুদুর রহমান মিলন জানান, মেলার প্রথম থেকেই বিভিন্ন ধরনের বাধা আর নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে মুলত এবারের মেলা ব্যবসা সফল হয়নি। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আয়োজক কমিটিও তেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের দাবি দাবা মানা না মানা নিয়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সমীর কুমার সরকার জানান, উর্দ্বোতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়েছে।