চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই যুবলীগের প্রভাবশালী রাজনীতিক। যে কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে সংগঠনটি। সংগঠনটির সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে নানা মহলে। এই অবস্থার মধ্যেই প্রেসিডিয়ামের সদস্যদের বৈঠক ডাকা হলেও হঠাৎ তা বাতিল করা হয়।
বুধবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকটি হওয়ার কথা থাকলেও আর বৈঠক হয়নি। তবে কি কারণে বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের এক বৈঠকে সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতাদের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন। এরপর যুবলীগ নেতাদের ৬০টি জুয়ার আখড়া বা ক্যাসিনো চালানোর খবর আসে কয়েকটি সংবাদপত্রে। পরে এসব স্থানে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকে। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটও আছেন।
অভিযানের মধ্যেই যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সব ধরনের ব্যাংক হিসাব ও লেনদেনের বিবরণী তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এমন অবস্থায় যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংগঠন নিয়ে চরম হতাশা সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, তারা হতাশা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। সাংগঠনিক অবস্থাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার সংগঠনটির প্রেসিডিয়ামের বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই বৈঠক বাতিল করার খবর জানা যায়।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য বৈঠক বাতিলের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘গত সোমবার রাতে ওমর ফারুক চৌধুরী প্রেসিডিয়ামের বৈঠক ডাকার জন্য সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে মঙ্গলবার রাতে চেয়ারম্যান বৈঠক বাতিল করার জন্য বলেন।’
তবে কি কারণে বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি।