যশোরে নিখোঁজের তিনদিন পর ইজিবাইক চালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

যশোরের চৌগাছায় ইজিবাইকসহ নিখোঁজের তিনদিন পর আব্দুস শুকুর রানা (২০) নামে চালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার আড়সিংড়ি পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

রবিবার সকালে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে চৌগাছা থানায় সংবাদ দেয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কচুবিলা (সাঞ্চাডাঙ্গা) মাঠের একটি কলাক্ষেতের ইপিলইপিল গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাক্ষেতের মধ্যে উঁচু একটি ইপিলইপিল গাছের উঁচু ডালে রানার লাশ ঝুলছে। মাটি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় রানার পায়ের দূরত্ব ছিল প্রায় দশ ফুট।

বিলাপ করতে করতে নিহতের মা পান্না ও চাচাতো বোন নাজমা জানান, গত শুক্রবার বিকেলের কোন এক সময়ে চৌগাছা শহর থেকে যাত্রী সেজে রানাকে কে বা কারা ভাড়ায় নিয়ে যায়। সেদিন বিকেল থেকে তার ফোন বন্ধ ছিল। এরপর রাতে যশোর শহরের নাইটগার্ড পরিচয় দেয়া একজন রানার ফুফাতো ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করে বলে তোমাদের রানা শহরে ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা ধরে রেখেছি। রানার ফুফাতো ভাই একথা তাদের বাড়িতে জানানোর পর মোবাইল করে ওই ব্যাক্তিকে বলা হয় আপনারা রানাকে ধরে রাখেন। আমরা তাকে নিতে আসছি। তখন ওই মোবাইলকারী বলেন, রানাকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি। সে তো চলে গেছে। এরপর রবিবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে মাঠে এসে দেখি রানার লাশ ঝুলছে।

রানার নানী মঞ্জুয়ারা বলেন, ছয়মাস আগে একবার রানার ইজিবাইক ছিনতাই হয়ে যায়। কিছু দিন আগে তাকে আবার একটি ইজিবাইক কিনে দেয় পরিবার।

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, কিছুদিন আগে রানা ইজিবাইকে ফেনসিডিলসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এসময় সে পুলিশের কাছে ফেনসিডিলের মালিকদের নাম বলে দেয়। পরে পুলিশ তাকে ইজিবাইকসহ ছেড়ে দেয়। ওই সূত্রটির ধারণা সে কারণেই ফেনসিডিলের মালিক রানাকে এভাবে হত্যা করতে পারে। ঘটনাস্থলে রানার নানী বিলাপ করে বলছিলেন গ্রামের লোকেরাই আমার রানাকে মেরে ফেলেছে। তিনি অস্ফুষ্টস্বরে কয়েকজনের নামও বলছিলেন।

চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বিপ্লব রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়না তদন্তের আগে তেমন কিছুই বলা যাচ্ছে না।