মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারীর আন্ত:জেলা চোর চক্রের মুলহোতাসহ ৭ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চোরাই ১০০টি ব্যাটারি, ৪৯টি সার্কিট, ২২টি কুলিংফ্যান এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত ১টি ডাবল কেবিন পিকআপ, ৩টি ভাঙ্গা তালা, তালা ভাঙ্গার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আটককৃতরা হলো, যশোর শহরের বারান্দি মোল্যাপাড়া আমতলার হারেজ মধার ছেলে হারুন অন রশিদ মিঠু, সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুরের খায়রুজ্জামানের ছেলে মেজবাহ উদ্দিন মিরাজ, শহরের বকচর র্যাব অফিস এলাকার মাহাবুব আলমের বাড়ির ভাড়াটিয়া ও ইউনুচ আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রিমু, সদর উপজেলার রাজারহাট সিতারামপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মোল্যার ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব ওরফে চঞ্চল, একই উপজেলার রাজারহাট সীতারামপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন মোল্যার ছেলে ও সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার তুলসীডাঙ্গা গ্রামের দীন মোহম্মাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুর রহিম মোল্যা (অসসরপ্রাপ্ত কারারক্ষী), সাতক্ষীরা কলারোয়া থানার রঘূনাথপুর মোড়ল পাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন, যশোর সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের হিরু মোল্যার ছেলে খায়রুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, ১২ জানুয়ারি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বল্লামুখ থেকে গ্রামীণফোন লি. কোম্পানির টাওয়ার থেকে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যায়। ব্যাটারির আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ টাকা। এ ঘটনায় ২২ জানুয়ারি বাঘারপাড়া থানায় মামলা হয়। ওই মামলাটি যশোর গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
যশোর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ মামলাটি তদন্তের জন্য এস আই শামীম আহম্মেদ তদন্তে নামে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং আধুনিক প্রযুক্তি করে ব্যবহার করে গোয়েন্দা পুলিশের দুটি টিম কয়েকদিন ধরে আন্ত:জেলা চোর চক্রের হদিস পান এবং তাদেরকে আটক করেন। তাদেরকে কাছ থেকে ব্যাটারি, কুলিংফ্যান, পিকআপ, তালা উদ্ধার করা হয়েছে।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ জানান, আটক ৭ জনের মধ্যে ৩ জন ডিপ্লোমাধারী ইঞ্জিনিয়ার এবং তারা বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারে চাকুরি করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ, এসআই শামীম আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।