যশোরের নরেন্দ্রপুরে পুকুর নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলা

যশোর সদর উপজেলা নরেন্দ্রপুর দফাদার পাড়ার একটি লিজকৃত পুকুরে মাছ মারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুই গ্রুপের কমবেশী ৬জন জখম হয়েছে। এ ঘটনায় পরস্পর উভয় উভয়কে দোষী করে কোতয়ালি মডেল থানায় দু’টি মামলা দায়ের করেছে।

একটি মামলার বাদি যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর দফাদারপাড়া মৃত খোকন শেখের ছেলে বাবুল হোসেন শনিবার দুুপুরে কোতয়ালি মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

তিনি এজাহারে আসামী করেছেন, ওই এলাকার নুরু দফাদারের ছেলে রাসেল, মৃত আনোয়ার দফাদারের ছেলে বট্টু, মিঠু, মফিজুল দফাদারের ছেলে সোহেল দফাদার, মৃত নওশের দফদারের ছেলে হাবিবুর দফাদার, মৃত মানিক দফাদারের ছেলে সিরাজুল দফাদার, মফিকুল দফাদারকে।

বাবুল হোসেন তার অভিযোগে বলেছেন, তার মালিক বিশ্বজিৎ আসামীদের কাছ থেকে ৩ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে। বাবুল হোসেন পুকুরের কোনায় ঘর করে মাছ পাহারা দেয়। গত ১ বৈশাখ লিজ শেষ হয়ে গেলেও ১৫ দিনের অতিরিক্ত সময় চাওয়া হয় পুকুর হতে মাছ খালি করার জন্য। এরই মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল সকাল ৯ টায় বট্টু বিনা টিকিকে ছিপ দিয়ে মাছ মারতে আসে। অন্যান্য দিন ছিপ দিয়ে জোরপূর্বক মাছ মেরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বট্টুকে ছিপ দিয়ে মাছ মারতে না দেওয়ায় বট্টুর হুকুমে সকল আসামীরা বাবুল হোসেনের উপর আক্রমন করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। বাবুল হোসেন প্রাণ ভয়ে পুকুরে ঝাপ দিয়ে চিৎকার দিলে তাকে উদ্ধার করতে লিটু, রানা, শহিদুলসহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসলেও তাদেরকে মাররপিট করে জখম করে। পরবর্তীতে আসামীরা এলাকাবাসীর আগমন দেখে চলে যাওয়ার জন্য প্রাণ নাশের হুমকী দেয়।

অপরদিকে, ওই গ্রামের মৃত আনোয়ার দফাদারের ছেলে আলমগীর হোসেন বট্টু শনিবার বিকেলে কোতয়ালি মডেল থানায় ৬জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭জন উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করেছেন।

এজাহারে বট্টু বলেছেন, তাদের শরীকের ১৮/২০ বিঘা পুকুর নরেন্দ্রপুর দফাদার পাড়ার স্বপন বাংলার ছেলে বিশ্বর কাছে ৩ বছর লিজ দেয়। উক্ত লিজের সময় গত ১ বৈশাখ শেষ হয়ে যায়। বিশ্বকে পুকুর ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে আসামী মৃত ইবাদ আলীর ছেলে মকবুল হোসেন, মকবুল হোসেনের ছেলে শহিদ, মৃত খোকনের ছেলে লিটু, লুৎফর রহমানের ছেলে রানা, মৃত খোকনের ছেলে বাবুল ও লুৎফর রহমান পুকুর না ছাড়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। গত ২৬ এপ্রিল পুকুর মুক্ত (ছাড়ার) বিষয়টি জানাতে আলমগীর হোসেন বট্টু সকাল ১০ টায় পুকুরের দক্ষিণ পাড় নির্মিত ঘরে বলতে গেলে প্রতিমধ্যে আসামীরা তার গতিরোধ করে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে লুঙ্গীর কোচরে থাকা নগদ ৫২ হাজার টাকা ও গলায় থাকা ১ভরি ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।

উভয় পক্ষের আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উভয় পক্ষের দায়ের করা মামলার তদন্তর ভার পড়েছেন নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই গোলাম মর্ত্তুজার উপর।