শার্শায় দুশিশু ধর্ষণের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষকসহ গ্রেফতার ২

যশোরের শার্শা উপজেলায় এবার দুই শিশু ধর্ষণের অভিযোগে কওমি মাদরাসার শিক্ষকসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকারের একজনের বয়স ছয় বছর এবং অপরজনের বয়স পাঁচ বছর।

শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম জানান, শনিবার ২৩ জানুয়ারী সন্ধ্যায় উপজেলার রামপুর গ্রামে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে ছয় বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শিশুর অভিভাবকরা ইউপি সদস্য কবির হোসেনকে জানান। এরপর কবির হোসেন তাদের থানায় পাঠান। শিশুটির বাবা এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। একইসাথে অভিযুক্ত সাগর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে একই উপজেলার বেনাপোল দারুস সালাম কওমি মাদরাসার পাঁচ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। শিশুটির পিতার অভিযোগ, তার মেয়ে রোববার মাদরাসায় যায়। ওই সময় মাদরাসায় নতুন যোগদান করা শিক্ষক হাফেজ সালমান তাকে মাদরাসার ভর্তির একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে তার রক্তক্ষরণ হয়। মেয়েটি বাড়িতে ফিরে জানায় নতুন হুজুর তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। এরপর বেনাপোল পোর্ট থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবশ্য শিক্ষক হাফেজ সালমান ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোকন উদ্দিন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই মাদরাসার চার শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। পরে রাতে এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং ওই মামলায় হাফেজ সালমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে