যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর হত্যায় ১২ জন অভিযুক্ত

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন ‘বন্দি’ কিশোর হত্যা মামলায় কেন্দ্রের চার কর্মকর্তাসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। একইসাথে এ ঘটনায় জড়িত অপ্রাপ্তবয়স্ক অপর চার শিশুর বিরুদ্ধে ‘দোষীপত্র’ দাখিল করা হয়েছে।

শুক্রবার যশোর আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর শহরের চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. রকিবুজ্জামান।

চার্জশিটে অভিযুক্ত চার কর্মকর্তা হলেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সাবেক তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক (প্রবেশন অফিসার) মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলম ও সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান।

এছাড়া যে বন্দি চার কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে তারা হলো গাইবান্ধার খালিদুর রহমান তুহিন, নাটোরের হুমাুন হোসেন, মোহাম্মদ আলী ও পাবনার ইমরান হোসেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তরা হলো- চুয়াডাঙ্গার আনিস, কুড়িগ্রামের রিফাত হোসেন, রাজশাহীর পলাশ ওরফে শিমুল ও পাবনার মনোয়ার হোসেন।

তুচ্ছ ঘটনায় গত বছর ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ১৮ বন্দি কিশোরকে কর্মকর্তাদের নির্দেশে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় তিন কিশোর। আহত হয় ১৫ জন। এ ঘটনায় নিহত পারভেজ হাসান রাব্বির বাবা রোকা মিয়া বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো. রকিবুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ১২ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। চার বন্দি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে কারিগরি প্রশিক্ষক ওমর ফারুকের জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় তার অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে।