‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলে ১২-১৮ বছর বয়সীদের টিকা’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলেই ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনার টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকা দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে আবেদন করা হয়েছে।

তাদের অনুমোদন পেলেই ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনার টিকা দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, চলতি মাসেই দেশে আড়াই কোটি ডোজ টিকা আসবে।

১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকা দিতে আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বস্থ্য সংস্থার কাছে আবেদন করেছি। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর চাপ কিছুটা কম।

করোনা ইউনিটগুলোতে বেড খালি আছে। তাই নন-কোভিড রোগীদের জন্য কিছু বেড ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এর আগে, শনিবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার শিশুদের ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্কুল শিক্ষার্থীরা কোন টিকা পাবেন কী না-এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, শিক্ষার্থীদের বয়স ১৮ বছরের ওপরে হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো ধরনের টিকা দেয়া যাবে।

১৮ বছরের নিচে যেসব শিক্ষার্থী আছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা ও অন্যান্য দেশে যেভাবে দেওয়া হচ্ছে সেভাবেই তাদেরকে টিকা প্রদান করা হবে।

তবে এর পরদিন ১৮ বছরের কম বয়সীদের আপাতত টিকা দেওয়া হবে না বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। দেশে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৮০ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৬ ডোজ করোনা করোনা (কোভিড-১৯) টিকা প্রয়োগ হয়েছে।

এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৯৩ লাখ ৪০ হাজার ৪০৮ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৮ জন মানুষ।

এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ১০ লাখ ৬২ হাজার ৭০২ আর নারী ৮২ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৫৩ লাখ ১১ হাজার ৩০০ আর নারী ৩৪ লাখ ২২ হাজার ৪৪৮ জন।

এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিড শিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৩৬ ডোজ। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৩৭২ ডোজ।

চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ৪২২ ডোজ। আর মডার্নার টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৩৫ লাখ ১৮৯ হাজার ৬৪৪ নারী ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার ১৫১ জন।

এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৩ লাখ ৩৮ হাজার ৭২১ জন প্রথম ডোজ এবং ৫৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬১৫ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৬ জন পুরুষ

এবং নারী ২৪ লাখ ৬২ হাজার ৭৫৫ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ৩৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৩৩ এবং নারী ২০ লাখ ১১ হাজার ৯৮২ জন।