চুরির ঘটনা জেনে যাওয়ায় খুন হয় শার্শার ইস্রাফিল

চুরির ঘটনা জেনে যাওয়ায় খুন হতে হয় শার্শার বিড়ি শ্রমিক ইস্রাফিল হোসেনকে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজন বিজ্ঞ আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে এ তথ্য স্বীকার করেছে।

এরআগে তথ্যর সূত্র ধরে বুধবার রাতে ১ ভরি ১১ আনা ৪ রতি চোরাই স্বর্ণালংকারসহ চুরির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপন কুমার সরকার বৃহস্পতিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপন কুমার সরকার জানান, মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মেহেদী হাসানকে ১৫ অক্টোবর ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর মেহেদী পুলিশকে জানায়, কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুসের বাড়ীতে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই রাতে ঘরের তালা ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা চুরি করে এজাহারভুক্ত আসামী নুর আলমের ভাতিপো জনি ও মফিজ।

নুর আলম ও আঃ আজিজ পরে চুরির স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে ঘটনায় নিহত ইস্রাফিল জেনে যান। পরে তিনি এটি ফাঁস করার হুমকি দেয়। এরই প্রেক্ষিতে ইস্রাফিলকে মারার পরিকল্পনা করে আসামীরা।

রুপন কুমার সরকার আরও জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বড় কবরস্থান থেকে ইস্রাফিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ২৭ আগষ্ট রাত ৯টা থেকে নিখোঁজ ছিলো বিড়ি শ্রমিক ইস্রাফিল।

এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় বিভিন্ন সময়ে পুলিশ কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মো. জনি, নুর মোহাম্মদের ছেলে নুর আলম এবং রাড়ীপুকুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে মেহেদী হাসনকে আটক করে।