যশোরের মণিরামপুরে তমা বিশ্বাস (১৮) নামে এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১২ নভেম্বর শুক্রবার সকালে মামা বাড়ির নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন তমা। তিনি রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, তমা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামের সুভাষ বিশ্বাসের মেয়ে। পাঁচ বছর বয়স থেকে তিনি মণিরামপুরের হানুয়ার গ্রামে মামা উত্তম বিশ্বাসের বাড়ি থাকতেন। মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগরের হাজরাকাটি গ্রামের সোহেল নামে এক যুবকের সাথে তমার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।
তার সাথে কথা বলতে বলতে তমা আত্মহত্যা করেছে। এমনটি দাবি স্বজনদের। সোহেল যশোর শহরের একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তমার স্বজন বিকাশ বিশ্বাস বলেন, তমা আমার নাতনী। ৪-৫ দিন ধরে কার সাথে যেন মোবাইলে বারবার কথা বলে।
মোবাইলে দু’জনের ঝগড়া হচ্ছে। কিন্তু তমা ছেলেটির বিষয়ে আমাদের কিছু জানায়নি। শুক্রবার ১২ নভেম্বর সকালে ওই ছেলের সাথে তমার কথা হয়। বিকাশ বিশ্বাস বলেন, সকাল পৌনে আটটার দিকে আমার মোবাইলে একটা কল আসে।
আমি ফোন ধরলে ওপাশ থেকে পুরুষ কণ্ঠে একজন জানান দ্রুত তমার ঘরে যান। দেখেন ও কি করছে। আমি লোকটার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নাম বলেননি। তারপর আমি দৌঁড়ে গিয়ে তমার ঘরের দরজা ভেঙে দেখি সে ফ্যানের সাথে ঝুলছে।
নামিয়ে আনার পর তমাকে মৃত অবস্থায় পাই। তবে এ ব্যাপারে সোহেলের বক্তব্য জানা যায়নি। মণিরামপুর থানার ওসি (সার্বিক) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।