যশোরে জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় ১০ জন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের শহরের ঝালাইপট্টি ও জজকোর্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন সদর উপজেলার রবিউল ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২০), চুড়ামণকাটি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আকিবুল ইসলাম (১৭), শহরের মুড়লি এলাকার সুফিয়ানের ছেলে রাব্বি (১৮), রুপদিয়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে শামীম হোসেন (২২),
ঝুমঝুমপুর এলাকার মুরাদ হোসেনের ছেলে রাসেল (১৭), চাচড়ার জাকির হোসেনের ছেলে জয় আহম্মেদ (১৭), ধর্মতলা এলাকার বাদল গোপালের ছেলে গোষ্ঠ গোপাল (২০),
স্বপন সরদারের ছেলে সোহাগ সরদার (২১), আর এন রোড এলাকার শফি ড্রাইভারের ছেলে হ্যাপী (১৭), হামিদপুর এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে টিটো (১৮)।
আহতদের মধ্যে রাসেল হোসেন, হ্যাপি, খায়রুল, টিটু ও আকিবুলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, ১৮ বছর পর যশোর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে যশোর শহরের সিটিটিএস মিলনায়তনে যশোর জেলা ও ৮ উপজেলার সব নেতা অংশ নেন। বর্ধিত সভায় অংশ নিতে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় চত্বরে জড়ো হন যুবলীগের পদপ্রত্যাশী দুই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও আনোয়ার হোসেন বিপুলের কর্মী-সমার্থকরা।
এরপর দুই গ্রুপের স্লোগানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় শহরের গাড়িখানা রোডে। একপর্যায়ে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় শহরের বিভিন্ন স্থানে দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে ছুরিকাঘাতে ১০ জন আহত হয়।
জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এম আব্দুর রশিদ বলেন, হ্যাপি, খায়রুল ও আকিবুলের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। রক্ত বন্ধ করা যাচ্ছে না। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাইজুল ইসলাম বলেন, যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনার সত্যতা এবং আসামি আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।