চৌগাছায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

চৌগাছা সোনালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক গ্রাহকের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ওই গ্রাহক উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তার ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ম্যানেজার। বর্তমানে তিনি চরম নিরাপত্তহীনতায় রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, চৌগাছা বাজারের খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে। সে সুবাদে ২০২১ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর চৌগাছা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আতিকুল ইসলাম সিরাজুল ইসলামকে তার অফিসে ডাকেন।

এ সময় ম্যানেজার সিরাজুল ইসলামকে বলেন, তিনি একটা সমস্যায় পড়েছেন এতে তার চাকরিও হারাতে হতে পারে। এজন্য আপনার একটু সাহায্য লাগবে।

ম্যানেজার সিরাজুলের কাছে তার সোনালী ব্যাংকের চলতি হিসাবের এক লক্ষ টাকার একটা চেক চায়। সিরাজুল ইসলাম সরল বিশ্বাসে তার ২৩১১৯৩৩০০৭০৪৫ নং একাউন্টের তারিখ বিহীন চেক ম্যানেজারকে দেন।

ওই সময় সিরাজুল ইসলামের একাউন্টে কোন টাকা ছিল না। পরে বিভিন্ন সময় সিরাজুল ইসলাম ম্যানেজারের কাছে চেকটি ফেরত চান। কিন্তু ম্যানেজার তাকে চেকটি ফেরত দেন নিই।

এক পর্যায়ে সিরাজুল ইসলাম জানতে পারেন ওই চেকটি ব্যবহার করে ম্যানেজার আতিকুল ইসলাম তার অফিসের জাহাঙ্গীর আলম নামে এক অফিসারকে ফাঁসিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করিয়েছেন।

বতর্মানে সোনালী ব্যাংকের চৌগাছা শাখায় বিশেষ অডিট চলছে। গত ১২ এপ্রিল সিরাজুল ইসলাম ওই অডিট টিমের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ও সাবেক ম্যানেজার অতিকুল ইসলামের শাস্তির দাবী করেন। বিষয়টি জানতে পেরে আতিকুল ইসলাম সিরাজুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে হুমকি ধামকি দেন।

ওই অভিযোগ প্রত্যাহার না করলেও তার প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। এতে চরম নিরাপত্তহীনতায় রয়েছেন সিরাজুল ইসলাম। এ ব্যাপারে সিরাজুল ইসলাম বলেন, চৌগাছা সোনালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার আতিকুল ইসলামকে একটি চেক দিয়েছিলেন পরবর্তীতে চেকটি ফেরত চাইলে ম্যানেজার নানা তালবাহানা করেন।

গত ১২ এপ্রিল সিরাজুল সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে অডিট কমিটির কাছে এ ব্যাপারে লিখিত আকারে জানালে সাবেক ম্যানেজার ব্যাংকের কতিপয় কর্মচারীদের নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেয়। ভয়ভীতিও দেখায়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চৌগাছা সোনালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার আতিকুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে তিনি কোন চেক নেননি। তার নামে সিরাজুল ইসলাম মিথ্যা অভিযোগ করছে।