যশোরে বিকাশের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চক্রের চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

বিকাশ এজেন্ট সেজে বিভিন্ন দোকান্দার ও গ্রাহকের সাথে প্রতারণা মূলকভাবে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রতারক ফয়সাল আহমেদ ও তার সহযোগী আরো তিন জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার ১৭ আগষ্ট সন্ধ্যায় মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলার তোলা নুরপুর গ্রামের ইবাদ আলী গাজীর ছেলে মহাসিন হোসেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ, একই উপজেলার বারোবাজার গ্রামের কেফায়েত মোল্যার ছেলে আব্বাস,বারোবাজার (মশিহাটি) গ্রামের পোল্ট্রী সোহাগ ও নলভাঙ্গা গ্রামের নারী রুপাসহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে।
মামলায় মহাসিন হোসেন উল্লেখ করেন, তার সদর উপজেলার নুরপুর খয়েতলা বাজারে মোবাইল হসপিটাল নামে একটি মোবাইল ও বিকাশের দোকান আছে। আসামী ফয়সাল আহম্মেদ বুধবার ১৭ আগষ্ট সকাল ১১ টায় বাদির দোকানে ফয়সাল আহমেদ বিকাশে টাকা পাঠানোর কথা বলে বাদিকে নাম্বার লিখতে বলে। বাদির তার দোকানের বিকাশের নাম্বারের খাতা বের করে নাম্বার লেখার সময় ফয়সাল বাদির অগোচরে কৌশলে খাতা থেকে অন্য বিকাশ গ্রাহকের নাম্বার লেখা খাতা এর ছবি তার মোবাইলে ধারন করে। ফয়সাল একজন প্রতারক এবং বিকাশের দোকান হতে একইভাবে নাম্বার সংগ্রহ করে গ্রাহকদের ফোন করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়। সে ইতিপূর্বে বাদিসহ আরো অন্যান্য বিকাশের দোকান্দারের দোকান হতে একই ভাবে নাম্বার সংগ্রহ করে দোকান্দার সেজে বলে ভাই টাকা পাঠানোর সময় ভুল হয়েছে বলে তাকে টাকা গুলো ফেরত দিতে বলে। বাদি দোকান্দার হিসেবে অপর দোকান্দারের টাকা ফেরত দেওয়ার সময় উক্ত আসামী কৌশলে সে বিভিন্ন দোকান্দারের নিকট হতে প্রতারণা করে প্রতিনিয়ত টাকা নিয়ে আত্মসাত করেছে। ফয়সাল আহমেদ এর দু’টি মোবাইল নাম্বার দিয়ে তার অন্যান্য সহযোগী উল্লেখিত আসামীদের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশ এবং নগদ প্রতারণা করে থাকে। প্রতারণক ফয়সাল আহমেদ ও তার উল্লেখিত সহযোগী তিন জনের ৮টি মোবাইল নামার দিয়ে বিভিন্ন গ্রাহক ও দোকান্দারের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বুধবার ১৭ আগষ্ট অন্যান্য বারের ন্যায় ফয়সাল আহমেদ বাদির দোকানে এসে টাকা পাঠানোর কথা বললে বাদির চিনতে পেরে পুলেশের সাহায্যে ফয়সাল আহমেদকে আটক করে। ফয়সাল আহমেদ আটকের পর জনগণ ও পুলিশের কাছে তার সহযোগীদের উল্লেখিতদের নাম প্রকাশ করে। ১৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার প্রতারক ফয়সাল আহমেদকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে সোপর্দ করেছে। সহযোগী প্রতারকদের গ্রেফতারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎপর রয়েছে বলে জানান।