যশোর শহরে ২০ রুটে ইজিবাইকে বর্তমান ভাড়ার সাথে বৃদ্ধি আরো ৫ টাকা

যশোর পৌর শহরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে ভাড়া বৃদ্ধি করেছেন বাংলাদেশ অটো বাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির যশোর জেলা শাখা। শহরের ২০টি রুটে বর্তমান ভাড়ার সাথে আরো ৫টাকা বাড়ানো হয়েছে। যা আগামি পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে বাড়তি এই ভাড়া কার্যকর হবে। আজ রোববার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শামীমুজ্জামান শামীম। এদিকে, যশোর পৌরসভার সাথে সমন্বয় না করেই পৌর এলাকায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ভাড়া বৃদ্ধি অযৌক্তিক বলছেন পৌরসভা ও যাত্রীরা। সংশ্রিষ্ঠরা বলছেন, ইজিবাইক চলাচল করে পৌরসভার লাইসেন্সে। তাই ভাড়া বৃদ্ধি করতে হলে পৌরসভার সিদ্ধান্ত থাকতে হবে। কিন্তু এসবের কিছুই না করে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে ইচ্ছে মতো। এতে এ নিয়ে চালক ও যাত্রীদের মধ্যে সৃষ্টি হবে দ্বন্দ্ব ও বাগবিতন্ডা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাবে যশোরসহ সারা দেশেই জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে স্বল্প আয়ে তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। যশোর অটো বাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির অধীনে ১২ হাজার ইজিবাইক রয়েছে। যার সাথে কমপক্ষে ৫০ হাজার পরিবার জড়িত।

ইজিবাইক চালিয়ে তাদের সংসার চলে। সারা দিন যে আয় হয় তার অর্ধেকের বেশি চলে যায় গাড়ি মালিকের কাছে। এজন্য বাধ্য হয়ে বাঁচার তাগিদে সংগঠনটি ভাড়া বাড়ানোর সিন্ধান্ত নিয়েছে।

শহরের ২০টি রুটে বর্তমান ভাড়ার সঙ্গে ৫ টাকা বাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা কার্যকর হবে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে। তবে ভাড়া বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক দাবি করে যাত্রীরা বলছেন, করোনাকালের এমনিতেই সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। উপার্জনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। আর শহরের মধ্যে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যমই ইজিবাইক। সুতরাং এমনভাবে ভাড়া বাড়ানোটা ঠিক হচ্ছে না। আর যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মোকছিমুল বারী অপু বলেন, যশোর পৌরসভায় সকল ইজিবাইক-রিকসার অনুমোদন দেয় পৌরসভা।

ভাড়া নির্ধারণও করে পৌরসভা। পৌরসভা-প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করেই ভাড়া নির্ধারণ করা উচিত। কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। এই ভাড়া নিয়ে চালক ও যাত্রীদের মধ্যে সৃষ্টি হবে দ্বন্দ্ব ও বাগবিতন্ডা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শামীমুজ্জামান শামীম বলেন, শহরের মধ্যে আমাদের ভাড়া ছিল ৫-৭ টাকা।

 

সেটি এখন হবে ১০ টাকা। শহরতলীর জন্য হবে ১৫ টাকা। এছাড়া উপায় নেই। কেননা প্রতিদিন আমাদের রোজগার হয় ৩ থেকে ৪শ’ টাকা। এতে ঘর ভাড়া দিয়ে সংসার চালানো যাচ্ছে না। কেননা বাজারে গেলে সব টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এজন্য নিরুপায় হয়ে ভাড়া বাড়াতে হচ্ছে তাদের। তিনি আরো বলেন, ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে আমরা পৌরসভার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা কোনো সিদ্ধান্ত না জানালেও আমাদের দাবির বিরোধিতা করেননি। তাই আমরা ভাড়া বাড়িয়েছি। ভাড়া ভাড়ানোর নতুন তালিকা আমরা ইজিবাইক, পৌরসভা-পুলিশপ্রশাসনকে অনুলিপি দিয়ে দিবো।